খামচে আঁচড় সাদা কাগজ
দাগ রেখে যায় – কোঁচড় ভরে
যায় না পড়া ;
বিশ্বাসী মন বিবশ বদন ,
হারিয়ে গতি ফল্গু নদী
বললে না তো, দেখলে যা-তা ।
এবলো-খেবলো বস্ত্র ভাঁজে
বাসি রাতের ফাঁপর ;
দুশ্চিন্তার বলিরেখা এঁকা-বেঁকা আখর ।
ভালবাসার ঠমক টাটে, তালে রসিক ভোলা ;
বালির দানা গ’লে জল, পাতন শোধন ধলা ।
জিভের ডগার চটক ঝাঁজে
জগাই-মাধাই সুধারসে -
খোল করতাল পাড়া সরব ‘বোল হরিবোল’ ।
গরব ভরা গরীবানা
মান অভিমান কাব্য গাথা ,
শিব পীরিতে ডুবিয়ে ঘটি
দুধ, গঙ্গা জল ।
অভিরুচির তিন তালায়, চার দেওয়ালে ভাঙন -
ফালি আকাশ গ্রহণ চাঁদে অনুষঙ্গি সাধন ।
সুষুম্নার সুশ্রী ছটায়
লোহিত বরণ চাঁদ ;
ট্রয় কাহিনী উৎস ধারায়
‘স্বর্ণ আপেল’ ফাঁদ ।
ঝিমুনিতে দুপুর রাতে আচম্বিত জয় ,
সদর দরজা পার হওয়া শ্বেতকরবী ভয় ।
কবুতরের বকম লাজে ধনঞ্জয়ী বাঁশি
মোড়ের মাথায় ইস্ত্রি-ধারী, ছেলে বিহারবাসী ।
কুঁড়ি বন্দী সুবাসিত মন আমেজের গোলাপ -
তর্ক-কথায় চন্দ্রাবলী খেজুড়মেথি প্রলাপ ।
কণ্ঠ লগন সমাজ সদন যাজ্ঞ্যবল্ক টিকা
হোমাগ্নির ভিন্ন আঁচে মৈত্রেয়ী শিখা ।
সাজিয়ে শব্দ আর্তনাদে, উহ্য বেদনা ;
জড়িয়ে স্বপ্ন শ্বাপদ প্রেমে মৃগনয়না ।