রূপসাগরে বৃষ্টি হবে
মন খারাপের রূপকথায় ।
পাতার আড়াল টগবগী সুর
দৃষ্টি নীরব, সময় ঘড়ির ঘোড়সওয়ার ;
পক্ষীরাজের ভেজা কাব্য ,
একশা জলে বাবুইয়ের বাসা ।
জলতরঙ্গে মন খারাপের বিকেল ।
ধূলোরা সব হল্লা করে
রাস্তা পেরোয় ইচ্ছে মতন ,
হিংসে ভীষণ ; যখন দেখি
বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়ে কুমারী মন ,
আগুন ছোঁয়া তোমার চিবুক বুক ।
‘কিন্তু’ আছে শেল্ফে শহীদ অঢেল ।।
চাইছে তোমার সায় ;
জমা জলে পায়ের শব্দ, বেফাঁস নিরুপায় ।
আনন্দের হাওয়া ভরা তুলো
উড়িয়েছিলেম মনের জ্বালা ভুলে ,
মধু-সাঁঝে তরল সোহাগ, করেছিল ভারী
শিশিরকণা, ভোর রাতের লাজে ।
অক্সিজেনে রজনীগন্ধা আমেজ ।
বিন্দু বিন্দু জোনাক্ জ্বলা রাত -
সেদিন ছিল হাতের পরে হাত ।
অনাড়ম্বর মনের কথা
গলার কাছে এসেও, থেমে গেলো
রাতকে বলি – লজ্জা কীসের
প্রদীপ যদি জ্বালো !
খুঁজছে পাগল সেই যুবকের তেজ ।।
গানে গল্পে পাহাড়সম ঢেউ
আছড়ে পড়ে তটে ;
ফেনিল সুরম গীত
হাঁটি, দৌড়ে বেড়াই,
কোকিল ডাকা শীত -
ব্রিলিয়ান্সি আমার কিসের কম ।
বাস্তবের চাদর ঢাকো আকাশ ।
গাঁয়ের বধুর, শাড়ীর চওড়া পার -
শাঁখের ফুঁয়ে তুলসী তলায় একা ।
রান্নাঘরের ঝিমে আঁচে, স্বাদের পাঁচফোড়ন ;
দিনলিপি হিগস্-বোসনের স্বভাবজাত ত্বরণ ।
লোনা জলে চাঁদের হাবুডুবু
আমার মুক্তি এই শ্রাবণে লেখা ।
লীলায় খুশি স্বপ্নের রাজহাঁস ।।