চারদিকে জঙ্গল আর ধরা ভরা জল,
বেশি সময় কাটে অলস ঘুমে ;
মাঝে হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে সুড়সুড়িতে হাঁচি
পৌরুষের সিংহ ওঠে জেগে ।
মেরাপ বাঁধা জলসাঘরে
জল খেলে যায়, আপন খেয়ালে
ফালি নদীর কান্না-হাসি
ফ্যালফেলিয়ে দেখে ।
বেরসিক রোদের কিরণ, ভীষণ আনমনা
হেলিকপ্টার ! আওয়াজ তুলে শূন্যে জাগায় চমক ;
জড়িয়ে থাকে নিসাড় জটিলতা ।
কালি ছোঁবে, বিজ্ঞাপনের দু-চার লাইন ফাঁক -
ভাবব কেন, আমি বোতাম ঘর ?
বনবনিয়ে বইলে হাওয়া নিম্নচাপের শুরু
ঘুর্নিঝড়ে নিয়ম-মাফিক ইচ্ছে ভ্রমণ -
উড়ছে সাথে ঝাউবনের প্রেম ;
দুপুর রাতে, স্বপ্নের ভূত হাত বুলোলে মাথে
বাছা উকুন হরফ হয়ে নড়েচড়ে বসে ।
গন্ধে ছন্দে বসন্তের থমক ঠমক ব্যজন !
নকল মেঘ ভরিয়ে আকাশ
বাতাস কেটে দূর গগনে
ছুটে যাওয়া ‘জেট’ -
দিন শেষে কোকিল-কণ্ঠী সুজন ।
স্নেহ মাখা সুধামৃত বস্তি শহর,
জল নিকাশি নালা -
পাল্লা দিয়ে ঝর্ণা ধারার সাথে
উষ্মা প্রেমে গড়িমসি মালা ।
মনের ভাষা শিশির ভেজা জল,
পালক গুঁজে হয়না ডানা ভারী ;
বেসামাল সময় রমণ তালগোলের ছাপ
রাস্তা থেকে এই তলাতে কটা সিড়ির ধাপ -
তোমায় বলব বলে খোলা দরজায় আমি
হয় নি আজও আড়ি ।