হেলাফেলা বিকেলের মাখোমাখো রোদ
সোজা উঁচু বাড়িগুলো ছায়া প্রশস্তি,
ফুটপাথে চলমান রাশি জনতা
‘আটঘড়া’ লেখা বোর্ড ছিল নিশানা ।
শুনেছিনু ‘তোলো হাত’ ছিল বারতা
চেনাটা সহজ ছিল তাই ; হয়তো তখনই .........
আদরের ঐ হাসি চিবুক ছোঁয়া
আলোছায়া খেলা ভোলা
খোলা আকাশে -
আঁচলের খুঁট ধরে দুহাত বাড়ালে
উসখুস চাঁপা বেলি মনের ডালিতে,
হাতের তালুতে রেখে কাঁধে ছোঁয়ালে ; হয়তো তখনই .........
ডাগর নজরে দেখা হলুদ কলকে,
ট্যাক্সির ভাড়া টাকা খুঁজে না পাওয়া ।
চটক মাঞ্জা যদি হয় বেদখল
সবুজ পাতার দোল মাতাল কোন্দল ।
ছোট লাফে ঘুঘুদের ছিল হৈ-চৈ
এগোনো টাকার হাত টেনে ধরলে ; হয়তো তখনই .........
বাতাস টানছে ঘুড়ি সঠিক নিশানা
হাতের লাটাই ঘোরে অতি অনায়াসে ।
বিজাতীয় গাঙচিল কাশফুল ছুঁয়ে
পাখনা মেলেছে সে উড়তে আকাশে -
‘তুমি তো এইতো বেশ যেমন ভেবেছি’
‘তেহাই ঠেকা’ র বোল উচ্চরোলে ; হয়তো তখনই .........
সংক্ষেপে কথা কটা, কেটে যাওয়া দিন
গরমিল অংকে ভ্যানতারা ছক ।
আগডুম বাগডুম আগাপাছতলা
টেঁসে যাওয়া খসখসে রোবোটিক ভাষা ।
ভেবে নিয়ে হার-জিত শুধু বেঁচে থাকা
দই ভেজা চিড়ে স্বাদে, ঠোঁট মজালে ; হয়তো তখনই .........
কালো স্লেটে সাদা চক ঝকঝকে রেখা
স্ট্র বেয়ে জিভ ছুঁয়ে ‘লিমকা’ শীতল ।
মিষ্টি-দুষ্টু রাগ ডগডগে ডাঁশা
কদবেল, কাঁচা তেল শীত দুপুরে ।
হাল্কা ছোট্ট টিপ দু-ভূরুর মাঝে
টপ্পার নিধুবাবু ঝংকৃত শ্লেষ -
ডানা কাঁপা প্রজাপতি কী ভীষণ সাড়া
শাড়ির আঁচল যেই আঙুলে প্যাঁচালে ; হয়তো তখনই .........
সারি বেঁধে রাস্তার এল-ই-ডি আলো
নিবুনিবু দিন আলো গড়ে সংঘাত ।
পাখিরা ফিরেছে নীড়ে, পাড়ি দূর পথ
ছোট বড় কাঁটা দুটো মেপে যায় রাত ।
মগজের শিরাতে ছলকানি ঢেউ -
বাতাসের বেড়া ভাঙে রিক্সা আসনে ।
অক্লেশে ওই হাত মাতলো খেলায় ; হয়তো তখনই .........
রোধে পথ পলাশের গজে ওঠা দাদা,
যাই যাই শীত গানে পুলিশ পাহারা ।
কোটি টাকা লেনদেনে পলাশের ক্ষোভ
চমকায় ধমকায় মানবিক নেতা ।
খোল-বোলে দূর গ্রামে, পলাশ-ই কীর্তন
মাঠঘাট সুধাময় কমলা বসনে ।
অকপটে জানালাম নিংড়নো প্রেম
মধুলোভী ফড়িংরা ঘাস ফুল ছুঁলে ; হয়তো তখনই .........