মরশুমি সাজ ছাদে বাহার কুয়াশা শীত
রবির ছটায় কুসুমিত
জ্বল জ্বলে উজ্জ্বল ।
বছর ফেরা পাপড়িরা সব খামখেয়ালি ;
জড়িয়ে আবেগ মৌতাত বিহ্বল ।
ঘন কমলা তেজ বাহারে ভুল সারিতে একলা ডালিম,
কপাল-টিপ সাজবাহারে ঘন সবুজ পাতা ;
ফুটিয়েছিল লাজসোহাগী কুসুম ।
টেক্কা দিয়ে ঠিকরে বেড়ায় ভালবাসার জ্যোতি,
ব্যকরণে চোদ্দ পদে সনেট ।
কাব্য ছন্দে বায়না একাসনে
অবোধ আঙুল নৃশংস দাবী ;
নিংড়ে নিতে চুলবুলি নেশা
বৃন্তে গাঁথা টগবগে কুঁড়ি, বিদ্বেষ-সংকট ।
বোঝে নি মন ভিন্ন অভিলাষ -
জয়ের মালা ছিনিয়ে নেবার সমান অধিকার ।
চলতি পথে এলোমেলো মোচড় কলি,
কটা রঙে কালো ভুরু চোখ ;
গোমড় ঘুমে ঝলসানো ক্রিসান-থিমাম জুড়ি -
শেষ ঋতু, উদাস বসন্ত ।
নুড়ি পাথর সাজিয়ে কদর, অলস বিকাশ সাইকাস (Cycuss) গর্ব ;
ছিটিয়ে জল দগ্ধ চিতার কাঠ
আঁটোসাটো প্রবেশ দ্বারে ভালবাসা ঠাঁট ।
ভাটায় দেখা গঙ্গাবুকে ক্ষত......
পলির চরে কাঠের তরি, বিঘৎ অবনত ।