ঝাঁকুনির এলোমেলো সকাল ;
লোহার চাকা লোহার পাতের
সু-মিলন সংঘাত!
আড়িপাতা চোখের কোণে অভেদ চিন্তারাশি
ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে গেছে সাতটা -
গুটি পায়ে ভারত কথা
গোলমেলে অযোধ্যা ।
তোলপাড়ে শহর গ্রাম
তামুক গন্ধে বিস্তীর্ণ গলি
সেই সময়ে তুমি !
ভোর কুয়াশায় টগবগে কলি ।
ভালবাসার ছটফটে রঙ কুঁড়ির আবেগ ছেড়ে
দুয়ারে প্রস্তুত ।
বায়ু-অনুকূল কামরা ছিল
কাছাকাছি কয়েক লোক ও আমি ।
নিরালায় সাথে পাওয়ার এই তো সময় ;
ঢুকে পড়ি চলন্ত কামরায় ।
দুই তালুর মধ্যে তোমার মুখ
বোকার মত রোমাঞ্চিত মন !
আধো ঘুমে নেড়েচেড়ে
তোমায় নিয়ে খেলা
বুঝতে পারো তুমি ?
সাধারণ কামরা হ’লেও জানলা সাটার নামা
ঠাণ্ডা হাওয়া, রোগটা যাবে বেড়ে ;
ওষুধ-ক্রিয়া অলস শরীর -
পারবে না হৃদ পাঁজর
রাখতে বেঁধে আমায়
আমি ছন্নছাড়া ।
মেরে দেখ উঁকি
রূপোর জড়ির বুকের আঁচল
দানা মটরশুটি ।
কবি-কবিতা-প্রেম-প্রেমিকা
কোমল আঙুল বুলিয়ে লেখা পিঠে ;
দেহের তাপে
বাস্পীভূত গোলাপ পাপড়ি রস -
আকর্ষণে কাছে এলাম
পেলাম দেখা
পেখম মেলা রূপে ।
দেওয়াল চাপা সন্ধ্যামণি
ফাটল ইটে তাজা ;
অধীর সনয় চুরি করে
‘কিন্তু’ দিয়ে বিষন্ন মন
নিয়ম মানা জীবন ;
ন্যাড়া ডালে চাঁপা ফুলের ছায়া ।
অবান্তরের ছাপে-ছোপে
পাণ্ডুলিপি দীনের.........
হাওয়ার টানে অচিন মাঝি পাল তোলা নৌকো ।