পূর্বকথাঃ - রুটিনমাফিক মর্ণিং ওয়াকে রাস্তার পাশে ছোট ডোবার কোণ ঘিরে নজর কাড়লো সারি দিয়ে গজিয়ে ওঠা কয়েকটা ঝকঝকে সাদা ব্যাঙের ছাতা । তখন এই মন নিজের সাথে যে গল্প জুড়েছিল………
ক্ষুরধার শব্দ গিঁটে কাব্য মহড়া
আদুরে সব কবির ঝাঁকে ধাঁধার পশরা ।
সবল চোখ পায় না দেখা শিল্পী বাবুই বাসা,
দাপুটে মেঘ বিছিয়ে গগন কুয়াশা তামাশা ।
মধুলোভী ব্যাকুল অলি কুতুহলী প্রিয়া ।।
আস্তাকুঁড়ের কুড়ুনিদের ক্লান্ত বিকেল
ঠাসা আফিম ছিলিম টান ………
এক দলিলে উজার পীরিত সইসাবুদ
বেঁধে ঘর মাকড় জালে নাস্তানাবুদ ;
সুতোয় বাঁধা দেশলাই খোল -
প্রিয়জনের সাথে কথা
খোশমেজাজে দিব্যিকাটা কাব্য জোড়া রসিকতা ।
দূর তটিনী প্রিয়ার স্বপন
সেঁউতি সুবাস ভোমর ফাগুন।
ধাপে ধাপে পাঁচিল গায়ে যত্নে শোভে,
কুরুঞ্জি ঝাড়……
উথাল পাথাল ছন্দে পুলক, তাল বেতাল ;
ঠিক ঠিকানার দিশা পেলেই মিষ্টি হেসে
হাওয়ার স্রোতে
দোলাবে ডাল -
অভিজ্ঞানের অধীরতায় মরা চরে ভরা কটাল ।
সম্ভাবনার নাট্যশালে বিড়ম্বনার তৈরী ফাঁদ,
জমে যে ধুল ……
বারো বছর পরে হলেও সাজবে দেওয়াল ঘন নীলে
ফুটবে সে ফুল ।
টাপুরটুপুর কথাও বলে ঝঞ্ঝাকাশ …..
পাখনা খুলে বেড়ায় উড়ে অন-লাইনে
বিন বাঁশিতে অবুঝ প্রেম,
মূর্ত প্রভাস ।
চাষের জমি বিভাজনে বাঁধে আল
হারায় দিশা রবির আলো - ডিজিটাল ।
মাঝগগনে মাথার ওপর ঐ রোদটা, খেললে হোরি
আবির রঙা ছায়াও খেলে পায়ের তলে লুকোচুরি ;
জীর্ণ আসর স্তাবক দল তবুও ঠোঁটে ভীমপলাশি ।
অতল তলে লুকিয়ে রাখা রসিক কবির অমূল্য দান
চোদ্দ পদে সনেট ঘেরা পূর্ণ শশীর অপূর্ণ স্নান,
আধেক জ্ঞানে অভিমন্যু রণে মেতে খোয়ায় মান ।
ভরা ইলেক ছররা শোলোক গজব ভাষা
সিঁড়িভাঙা অংক সাজে, ঘষে রবার খাসা ;
ঘেঁটে পাঁক রতন খোঁজে অনুভবী প্রিয়া ।
ব্যাঙের ছাতা = ক্লোরোফিল হীন জীবন । অপ্রত্যাশিতভাবে এবং দ্রুত উপস্থিত হওয়া । মাশরুম নামে চির পরিচিত । সরলীকরণে এখানে ওখানে আদরে অনাদরে গজিয়ে ওঠা বস্তু ।
বিষাক্ত পদার্থ বিদ্যমান ।
জঙ্গলে পাওয়া যে সমস্ত মাশরুম আছে তার মধ্যে যেগুলোতে বিষ নেই বলে জানা তাতেও বিষ থাকতে পারে । কোন মাশরুমে কচি অবস্থায় বিষ না থাকলেও পরে ভিতরে পচন ধরলে তাতে মারাত্মক বিষ হয়ে যায় ।
কুরুঞ্জি > বেগুনি রঙের নীল ফুলটি বারো বছরে একবারই ফোটে এবং নীলগিরি পর্বতমালাকে এর নাম দিয়েছে নীল (নীল) + গিরি (পর্বত)।
প্রভাস > শ্রীকৃষ্ণের শেষলীলার স্থান
আসরের সকল কবিবন্ধুদের জানাই পবিত্র ঈদের মঙ্গলময় শুভেচ্ছা ও ভালো থাকার কামনা ।