লুটোপুটি খাচ্ছে যারা এই মাটিতে
আসে ফিরে আবার - শূন্য হাতে ।          
ক্যালেন্ডারের পাতা -
সাতদিন পরেই  আবার ফেরে
আজকের এই দিন  
হতেই পারে সেটাও শনিবার ।

মেঘ আড়ালে বস্তা ভরা চিন্তা রেখে মাথায়  
ব্যস্ত এও -  নতুন বেদব্যাস ।
সাগর থেকে জল ঢুকছে খালে, বিলে
ঊর্দ্ধমুখী গতি ;
প্রকাশকের দুলছে মুণ্ডু, পেন্ডুলামের গোলক
মতভেদে এমৎ পরিহাস ।

বেশ না হয় চার দেওয়াল - থাকুক এক ধাঁচে ;  
অনুরাগের ধারধারে না রঙ
যেমন খুশি ছিটিয়ে বেড়ায় সে  
বিশাল সরস ‘তারা’ ।        
বাহারি বহর 'কমলা সার্কাস'
বেমানান সাজে -  
হেথায়  এরা জীবনসাথী সঙ ।  

আদ্যিকালের পটভূমি ফ্রেমে      
যমালয়ের ধারাবাহিক নাটক ;
খামচে টেনে পুঁথির  জীর্ণ পাতা
কুনকি দিয়ে চাল মাপে সে আজও    
কলম হাতে বেকুফ বেদব্যাস ……
তিল দ্যাখে সে তালের মগডালে
চিত্রগুপ্তের ভাবুক প্রকাশক ।

দোষ দিও না বন্ধু আমায় আজ    
কলিকাল তো পুরনো চ্যাপ্টার ;
হয়তো স্বর্গ নয়তো পাতাল
পুব হোক বা পশ্চিম
দিকদিগন্তে মুছে গেছে অতীত
ক্রিসানথিমাম পাপড়ি মেলে তাও
ঋতুচক্রে ওই আলোরই নেশায় ।  

কলিকাল তো শেষ হয়েছে
আগের অধ্যায়ে ;  
নেকড়ে চোখে নেই তো বাছ-বিচার          
রাত জাগার অভ্যাসটা কালান্তরের দেনা ।                                                                                                                                                                      
চেনা অচেনা ভিড়েই চলে দর কষাকষি      
‘ক্ষত্রবধু গান্ধারী’র চোখের দোপাট্টা……  
চির সত্য মৃত্যুমিছিল
নীরব, দিশেহারা ।  

গ্রহ থেকে গ্রহের লাফে আলোর কেরামতি  
তারতম্যে তাপ-তরঙ্গে অপরূপ সঙ্গতি ।    
আছে বাতাস দুলছে ডালিয়া  
যুগান্তরেও নৃশংস নির্যাস ;
সৌরভে রোম্যান্টিসম
ভোলে সাহস কার !    

নতুন নেশার বশে - শূন্যতার ছায়ায় দাঁড়িয়ে,
আজও হতাশ নতুন বেদব্যাস ।