ভোমর হয়ে মনের কথা শুনিয়েছিলাম তোমার কানে ………
অপচয়ে গড়ায় মধু, বয়স যখন সন্ধিক্ষণে ;
দংশনে সিক্ত বসন, রিক্ত হ’ল এই মহাজন
শব্দে ছিল হরিণ শিকার পান্ডু যেথায় অভাগী জন ।
বিষ দাঁতটা তোমায় ছুঁলো
তাই যে দোষ আমার হ’ল ।
ছিলে তুমি রক্তজবা বনবাসে মা সারদা,
কালীমায়ের চরণসেবা সাধক সাথী ;
বনবকুলের গন্ধে উদাস সরল বাতাস,
মাতাল হয়ে ফোটালে হুল -
দোষটা আমার, অধিবাসী ।
তুমি তো সেই অভাগা প্রেম
দেবদাসের হারানো ‘পারু’ -
কঠিন মাটির ছড়ানো মূলে
পাহাড় শোভা দেবদারু ।
গান্ধারী, কুন্তি, মাদ্রি
সতী সাধ্বী ভক্তিমতি ;
খুশি মত এনেছে ডেকে খেয়াল যেথায় বীর্যশালী ।
আমি একটা ঘৃণ্য জীব
জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ
‘অথর্ববেদ মন্ত্র’ পেতে
দুর্বাসাকে খুশির জাঁক ।
ভুবন আলা জোছনা রাতে শীতল স্নানে আপনহারা -
অন্য মনে ছুঁলাম তোমায়
দোষ আমাকে করলো তাড়া ।
সাঁঝের বেলী, রাতের গেঁধা
কার তালুকে কত গজল !
ভোজনরসিক চিতার জিভ
মানব রক্ত স্বাদে পাগল ।
সভ্য সমাজ চাতুরিতে, দূষণের এই ছলাকলা ;
ইঙ্গিতের মোহজালে থাকলে তুমি সেই অবলা ?
চেনা যখন হয়নি তোমায়
শিমূল তলায় কে অপেক্ষায় !
আঁচল জুড়ে সোহাগ দিয়ে
ছাপিয়ে রঙ নাচালে খেলায় ।
গোপন দ্বন্দ্বের ছিনালি চাল
আবেগ মধু আলগা খিলে ;
মারতে গড়ুর ছুঁড়লে তীর
হইনি অবাক লাগলে চিলে ।
পুরুষ আমি নারীর দোষে
কপট চালে ঘোমটা রাধার !
কেষ্ট বাঁশির শব্দে কাতর
তবুও ইতর, সর্বনেশে ।
‘অথর্ববেদ মন্ত্র’ – কুন্তিকে দেওয়া মুনি দুর্বাসার ইচ্ছে মত পুরুষসঙ্গ পাওয়ার মন্ত্র ।