উলু-খাগড়ার দোলানো হাওয়ার গীত,
শুনিয়ে গেল মেঘ পরীদের দূত;
ভরা মসৃণ দেওয়াল জোড়া দামী আয়নার কাঁচ -
রেখা টেনে দীর্ঘশ্বাস ভাসালো সেই মুখ ।
কাঁসর-ঘণ্টায় তলোয়ার ঝঞ্ঝনি
ফিরলে তুমি অকুণ্ঠ গুঞ্জনে !
কাঁপ ধরানো রবির কিরণ ঘোমটা টানা মুখ,
বায়ুস্তরে জঙ্গী নাচ নেচে ;
মায়াবী রাত কদমডালে অলুক্ষণে পেঁচা -
অবহেলার টগর এলো মুক্তো রঙে সেজে ।
হারিয়ে পাওয়া আর্তনাদে আকুল বেদনায়
হিল্লোলে সায় সেই আমারি তুমি !
আবীর খেলায় দূর দিগন্ত শান্ত কোমল ছটা,
কুরু-পাণ্ডব রণক্লান্ত সেনা ;
গন্ধবিহীন গভীর আকাশ তারার সরোবরে -
ফিসফিসিয়ে গল্প ছিল মানুষ চেনার দেনা ।
আবিলতায় গোমড়া পদ্মকলি
আঁচল পাতা সেই শরীরে তুমি !
সময় দলন উচ্ছ্বসিত তেল রঙে আঁকা চোখ,
অবসরের ঠমক চলন মরুভূমির উট ;
কারিগরের আকাশগঙ্গা আঁকাবাঁকা ডোরা -
মনের জাহাজ বস্তাবন্দি আক্ষেপের লুট ।
থ্যাতলানো মুখ হোঁতকা হোঁদল গড়ন
অবাধ্যতার আবেগে সেই তুমি !