রেখে দিও পাশে -
প্রাণবায়ু পায় উচ্ছ্বল আবেগ
বুলিয়ে দিলে হাত
নিঃশব্দে হাসে ।
আড়াল করে দেখা
টব রোদের খেলা
লেখা কাগজে ;
বুলিয়ে দিলে হাত
দ্বিধা-দ্বন্দে লেখাগুলো
বুকের মাঝে বাজে ।
পড়লে পাতায় শ্রাবণধারার
ক’টা ফোঁটা জল
হেসে ওঠো খলখল ;
বুলিয়ে দিলে হাত
শরম রাঙা ত্রাসে
লেখা কাগজ, উড়লো বাতাসে ।
ধরতে কাগজ বাড়িয়ে হাত
লাফিয়ে কয়েক পা,
ফিরে এলাম আবার তোমার পাশে ।
বুলিয়ে দিচ্ছি হাত
ঐ কাগজ আমার ।
চাঁদের আলোয়, দোল খেয়ে যাও যত ;
বলবো না তোমায় -
কী আছে তায় লেখা
রাখবো খুবই কাছে ।
কানে কানে বলতে চাও কথা
তাতেও আছে ভয়,
আর ভুল নয় ।
অজ পাড়াগাঁয়ের মেয়ে, আমি,
এই কাগজ
ডাকেই পাঠাবো ।
ডিজিটাল যুগ - বেমানান কথা
মুচকি হেসে ঘোমটা নামালে
খামের রঙ কোনটা মানাবে ?
পাহাড় থেকে ঝুলে, শিলাখণ্ড চাতাল ;
ঘন সবুজ বনরাজি নীচে
আবোল তাবোল হাওয়ার সাথে, মাতাল ।
গায়ে লাগা ‘বকুলফুল’ পাহাড়
শনশনি আওয়াজ তুলে গা্ন,
সুরেলা ঝর্ণা ।
দুই পাহাড়ের মাঝে টুকরো মেঘ ;
আশায় আশায় তুমি আমি
আছি পাশাপাশি,
‘ওহ স্পাইডার প্ল্যান্ট’
ছড়াও করুণা ।
বুলিয়ে দিচ্ছি হাত,
তোমার ললিত আকার গায় ;
ছোট্ট নিবেদন -
খামের রঙ কোনটা মানাবে ।
‘বকুলফুল’ – পাতানো সখি