মাটি ছেড়ে আকাশপানে
উড়তে গিয়ে ;
পাখনা মেলে ডিগবাজি খায়,
চিলেকোঠায় কাঠের খোপে
দানাপানির ভাবুক রসিক পায়রা ।
পেখম আমার নাই বা থাকলো
লাফিয়ে দু’পা ছুঁতে পারি মেঘ,
যেখানে পাই আমার মনের আকাশ ।
মুড়ির সাথে গুড়-বাতাসা
আল ভাঙা তেজ বর্ষা
বানের জল ।
ঐ যে দূরে চিল, উড়লো আকাশে
ওর লেজের আলো, ফেলছে না আর ছায়া
আমার চোখের কিনারায় ।
কল্পমনে গল্প লেখে স্যাতসেতে স্বপ্ন ;
চিলের চোখের অম্ল অশ্রুধারা -
রূপোলি নির্মল ।
আসবে কী সে ফিরে !
কেটে গেলে মন্দ্ মেঘের
অলুক্ষণে বর্ষা ।
আলতা পেড়ে ঘোমটা টানা,
আমার বাড়ীর
সোমত্ত সেই বৌ ।
আঁচল আগলে সাঁঝ প্রদীপের বাতি
আকাশে পা নটরাজের নতুন ভঙ্গিমা ।
দীপালোকে জড়িয়ে ভাইরাস
আমার হাতের তালু,
ভালবাসার অবাধ্য অঞ্জলি -
যায় ছুঁয়ে আলোর রোশনাই ।
পেখম আমার নাই বা থাকলো
লাফিয়ে দু’পা ছুঁয়ে এলাম মেঘ ।
আলে বসে লিখবো তোমায়
এক বয়ানে চিঠি ।