আমি……
মাদক পাচারকারীর মত কবিতা আমার মগজ জুড়ে,
অধিকারের মৌখিক বৈধতা বজায় ।
যতি, বিরামের যেমন তেমন ঠমকে
আমার সাহিত্য-লালসাও হয়ে উঠেছে অতিষ্ট;
আমার দর্শন ও আবেগ আড়াআড়ি ভাগে
সমুদ্রের নমনীয় ক্যানভাসের ভাটা ও প্রবাহের উচ্ছ্বাস।
কবিতা্র রসিক শিবলিঙ্গে স্তাবকের আব্দারে
রোজকার নৈবেদ্য চড়ানো
ঠোঁট ফাটা, চোয়াল ব্যাথা এবং কর্কশ কণ্ঠস্বর না হওয়া পর্যন্ত
আমি শুনতাম অবিরাম ঘণ্টাধ্বনি ……
কবিতার মায়াবী ভাষা থেকে
ছটফটে শরীর কাঁপানো আনচানি ।
তুমি……
জানা অজানা শব্দের হাটখোলা গবাক্ষে
কবিতায় ছড়ায় মনমাতানো লাইন
আশা নিরাশের দোলায়
বিভ্রান্তিতে আন্দোলিত নিজস্ব সত্ত্বা;
চললো প্রেম-বারান্দায় মিলনরাস
বাঁশি বাজালো সেই মুরলিধর ।
তাই মন……
ছোট বড় সাহসিক লাফ, জ্বলজ্বলে লাভজনক ছাপ ।
সে আমার সাথেই থেকে গেল...
এবার আমি……
যতবার কবিতা আমাকে আদর করতে চেয়েছে,
ততবারই ছিল অনায়াস অনুমতি ;
তার ক্যালিগ্রাফি আঙ্গুল, জড়িয়েছিল আমার মাথার চুল
তাই সাহসে ভর করে আমার ক্ষুধার্ত শরীর
উজার করে দিয়েছিল সবটুকু,
আত্মহারা হয়েছিল শক্তিশালী অনুভূতি ।
তখন তুমি……
রঙিন রাংতায় মোড়া সাজানো কিউইয়ের গন্ধ
ঢিল পাওয়া লাট খাওয়া ঘুড়ি আনন্দ শ্বাসে
ফিরে পায় অনুপম বিশ্বাস ।
নতুন উদ্যমে কামড় দেয় কচকচে আপেলে ।
ইডেনের বাগানে শুরু হয় জ্ঞানের পিকনিক
লোভনীয় কবিতার চ্যাটচেটে শব্দজাল
ফোঁস করে আবার তোলে ফণা ।
তার হাইকুস ছন্দ-মাখা হাত
ছিল আমার বুকে ও ঠোঁটে
শিবলিঙ্গ চেপে ধরে
ছিল তার বৈপ্লবিক আবেদন ।
………
বছর ঘুরে গেলেও আজ আমি
শুনি সেই সহানুভূতির কবিতা
বলে দাও আর কতকাল ।
*শিবলিঙ্গ – প্রেমের ঠাকুর ।