যে মাটিতে হচ্ছি বড় আমি তুমি
কাঠমোয় চর্ম আবরণ
নেই কিছুতে ফারাক  
ভালবাসার সমাজ আর আমরা নাকি মানুষ!
বাকি যারা জড়, অজড় প্রাণী
ঘিরে চতুর্দিক, জোগায় অসীম সাহস  
গ্রাহ্য সুখ মাটি-জল-বাতাস ।    
সুযোগ বুঝে তারাদের দল
ওড়ায় ছিন্ন আঁচল
ছিটিয়ে রঙ কল্পরথে দখল - পুরাণ মহাকাল ।    

এমন তেমন গ্রহের ছন্দ দোলায়  
পায়ের ছাপ গণ্ডিরেখা এঁকে
বেড়ায় চরাচরে এজমালি শরিক
ভাবতে পারতাম না ।    

গোত্র-জাতি শব্দ শানিয়ে, শুনিয়ে
উঠলে হেসে,
মিলিয়ে তাল চু-কিৎ-কিৎ খেলা….
মাথার ওপর মহাশূন্য মেলা ।
আঁধার আলোয় ধারে-পাশে সবখানে  
নেশা ধরায় পটের দেবতা ।          

কারসাজির কলম দেখায়
জুয়াড়ির তাস…
দেখব এমন বুঝতে পারতাম না ।  

ঝরে পড়া রাশি বটের পাতা
মহামূল্য আলো হারিয়ে  
নিঃশ্চুপ হাওয়ায় গড়িয়ে
পেল যখন প্রভাকরের ছোঁয়া ;  
হলুদ রঙে পোড়া পাতা
শতছিদ্র জাল
কাব্য গাথায় স্বপ্ন মাখামাখি ।  

শরীর আমার চিৎ-উপুরে সেদিন
আমি তেমন সেঁকতে পারতাম না ।

নোনতা স্বাদে জিভ,
শেকল বাঁধা ।
কৈকেয়ী ছল হল্লাবোলে
আকাশ বাতাস কাঁপে,  
অনুরাগে স্ত্রৈন দশরথ……  
জেনে অন্যায় রা নেই যার মুখে ;  
বনবাসী দাদার শোকে
পরাকাষ্ঠা ভরত ।  

খড়ম মাথে সিংহাসনের মোহে!
নয়নলোরে সুপ্ত সোহাগ খুশি
পক্ষিরাজ আশায় বুক বেঁধে  
নিরুদ্দেশের আকাশকুসুম স্বর্গ
ভ্রমণসুখে চিত্ত বিনোদন -  
নির্দেশ পেতাম না ।      

শুনেছি কোন অচেতন মন
সচেতন বল পেয়ে                  
সাজিয়ে আসর ইচ্ছেমত
জাত বেজাতের মানুষ ;  
পূর্বসূরি আদ্যিকালের স্বাধীনচেতা সাথী  
বীর হনুমান ধর্মপ্রাণ
মহাকাব্য বয়ান…
এপার ওপার সেতু বেঁধে মুস্কিল আসান ।  

অকাল বেলা হয়তো শরত
নয়তো ঘন শীত ;  
বসন্তকে কিছু দূরে রেখে
তীরন্দাজের বাণ ছুটছে মহাব্যোমে  
গতিপথে স্পষ্ট রেখা
‘জ্যামিতিক চাপ’ ;  
সময়ের বেহাল ক্ষণ ছলনাময় রোদন    
ভূমিতলে লুটিয়ে বাণ  
জমিয়ে তোলে পীরিত…  
কামনার তিলক-চন্দন ছ্যাবলামি ছাপ ।      

ভদ্রজনের সীতাহরণ সন্দেহতে তাই  
নেশার ঝোঁকে আফিম গুলি সেবন ।    
পালাগানে পোঁ ধরা গোঁ
সুরে গাইতাম না ।  

অশোক কানন ছায়াতলে বিদ্বেষ্টা জ্ঞান  
ঐ সেতুতে আজও তবু সওয়ার হলাম না ।

কেটে যাওয়া ঘুড়ির শোকে নতুন ঘুড়ি
উড়লো আকাশে ;  
সুতো লাটাই অজ্ঞান সহবাসে
আবার পড়বে কাটা…

খাপ খাওয়ানো বদল মাঞ্জা্র
গল্প লিখলাম না ।  


*** বিশেষ অনুরোধ – ‘বদল মাঞ্জা’ Juvenalian satire মনে রেখে পড়ুন ।