মনে আছে আজ থেকে ঠিক ঊনিশ বছর আগে
কোনো এক দিনে একটিমাত্র কথার বাঁকে
আঁটকে গেলে তুমি
সেদিন থেকে আজ অবধি একটি কথাই বলো
আমি তো সেই ঊনিশ বছর আগে
নিজেকে সঁপে দিয়েছি তোমার কাছে
আর আমার হৃদ মাজারের পুরোটা জায়গা
তোমার নামেই উইল হয়ে গেছে ।
ধীরে ধীরে আমিও সঁপে দিলাম
নিজেকে তোমার মাঝে
সেদিন থেকে আমরা দু'জনই চাইতাম
খুব সাদাসিধে প্রেম হউক
দুজন দু'জনার মাঝে নিঃসার্থ প্রেম হউক আমাদের
যেন অযথা কোন মান অভিমানের বোঝা নিয়ে
নির্ঘুম রাত কাটাতে না হয়।
আমি কখনো চাই নি
দামী রেস্তোরাঁয় আয়োজন করো আমার জন্মদিনের পার্টি কিংবা সেই সাথে পড়িয়ে দেও ডায়মন্ডের জুয়েলারি।
আমি তো শুধু এইটুকু চেয়েছি
সেদিন সকালে সোনার কাঠি রূপোর কাঠি এদিক সেদিক করে ঘুম থেকে উঠাবে তোমার রানীকে
তোমার ঠোঁটের চুম্বনের সাথে এবং বলবে
আজ আমি তোমায়
নিজের হাতে নাস্তা বানিয়ে খাইয়ে দিব
তোমায় নিয়ে ঘুরবো নদীর ধারে
দেখবো দু'জন সাদাবক আর পালতোলা নৌকা।
আমি তোমার কাঁধে মাথা রেখে
বিভোর হয়ে ডুবে যাবো তোমার প্রেম যমুনায়
তুমি আমার দুহাত ধরে বলবে
এই প্রমিজ করো, কখনো তুমি আমায় একা করে যাবেনা কোথাও।
তুমি জানো আমাকে ধরে রাখা খুব সহজ
আমি তোমার ভালোবাসায় বিশ্বাসী
আমার প্রাচীন মনটা বুঝে
ভালোবাসা হলো বুকের মাঝে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা মায়ার নাম।
হঠাৎ বলে উঠলে, সেজন্যই তো তোমায় আমি
নাম দিয়েছি মায়া,,,,
তুমি জানো তোমার মায়া শুধু চায়
সামান্য সময়, কেয়ার, রেসপেক্ট, লয়্যালিটি আর তোমার নিখাদ ভালোবাসা।
তুমি জানো তোমার মায়াকে তার খোঁপায় বেলীফুলের মালা গেঁথে দিলেই সে সন্তুষ্ট।
ভালোবাসার সামান্য হাওয়াই মিঠাইয়েই মায়াবী হয়ে উঠে মায়া।
এই জীবনে তোমার কাছে কিচ্ছু চাওয়ার নেই আমার
শুধু এই বিশ্বাসটুকু করিয়ে রেখো
ছায়া যেমন আমৃত্যু থাকবে আমার সাথে
তুমি ও ঠিক ছায়া হয়েই পাশে থেকে
আগলে রাখবে আমায়।
কি, রাখবে তো!!