যে মেয়েটি
উদাস হয়ে থাকতো চেয়ে
নদীর পানে-
পদ্মাপাড়ের সে মেয়েটি
পদ্মা সেতুর গুরুত্বটা
ঠিকই জানে।
যে ছেলেটি
ঝুঁকি নিয়ে নিত্য ছুটে
নদীর পানে-
পদ্মাপাড়ের সে ছেলেটি
পদ্মা সেতুর প্রয়োজনটা
সঠিক জানে।
যে রমনী
চোখের জলে সাঁতার কাটে
নৌকাডুবির পরে-
পদ্মাপাড়ের সে রমনীর
আনন্দে মন ভরবে আজি
পদ্মা সেতু চড়ে!
যে মা-বাবা
দিবারাত্রি থাকতো জেগে
তাসবিহ জঁপে মনে-
পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে
খোকা-খুকি ফিরবে নীড়ে
বাবা মায়ের সনে।
সে মা কিংবা সে বাবা
পদ্মা নদীর দু'পাড়েতে
বসত যাদের,
মর্যাদাটা বুঝতে পারে
পদ্মা সেতুর দরকারটা
কতটা তাদের!
যে যুবার
স্বপ্নগুলো অধরা নদীর জলে
ঢেউয়ে ভেসে-
পদ্মাপাড়ের সে যুবাটি
সেতুর বুকে দাঁড়িয়ে আজ
উঠবে হেসে!
(ঈষৎ সংক্ষেপিত)
২৪ জুন ২০২২ || রাত ১০.৫৫ টা