দিগন্তজোড়া ঐ সোনালি ধানের মাঠ,
ওপ্রান্তে মিশে গেছে নীলাকাশের পাঠ !

কুয়াশায় ঘেরা, কাকডাকা ভোর-
কৃষাণী, কৃষাণকে খুলে দেয় দোর।

কাস্তে হাতে, ভার কাঁধে, কৃষাণ যায় মাঠে;
কৃষাণী থাকে অপেক্ষায় বসে চৌকাঠে।

ধান কেটে আঁটি বেঁধে, লয়ে গেলে বাড়ি;
কৃষাণী মাড়ায় ধান, কোমরে বেঁধে শাড়ি।

শুকায় ধান উঠানে, তুলে রাখতে গোলায় ;
কিছু ধান আলগায় বুনতে বীজতলায়!

কিছু আতপ, কিছু সিদ্ধ, নানা ভাগ করে;
কিছু হাটে বিক্রি করে চলতি দাম ধরে!

নানা কাজের ব্যস্ততায় দিন যায় কেটে,
কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে, তবু হাসি ফোটে!

সারা দিন কাজ-কর্মে মেলে না ফুরসত,
গোধূলি শেষে মিলে ক্লান্তির মহরত!

হেমন্তের ফসলে গোলাঘর যায় ভরে;
পাড়া জুড়ে নবান্নের যেন ধুম পড়ে ।

হেমন্তের রূপ-লাবণ্য দেখতে যদি চাও,
শহর ছেড়ে গ্রামে, এখনই পাড়ি জমাও!

____________
ব্রাহ্মণবাজার, কুলাউড়া।
০৪ ডিসেম্বর ২০১৯।