হে পুরুষ, তুমি দীর্ঘ দেহি
বলিষ্ঠ তোমার পেশী , শক্ত তোমার চোয়াল
তুমি সৃষ্টির আদি , রূপে তুমি ভয়াল।
তুমি রুদ্র প্রতাপ , তুমি বৈশাখ খর তাপ
আগুনের মতন জ্বলন্ত তুমি- তুমি বিনাশের অভিশাপ।
সৃষ্টি-কে আগলে রেখেছে , সে তোমার প্রকান্ড প্রকাশ
থর থর কাপে চৌদিক, হারিয়ে ভাষ
মাথা নত করে থাকে নিশ্চুপ পরিহাস।
সকলি শান্ত, সকলি ভীত , তোমার রুদ্র এমন -তুমি যে প্লাবন -
তোমারই কারণে পৃথিবী সবুজ- হওয়ায় দোলে সবুজ বন।
তুমি করেছো শেষ নতুনের রচনায় কত কতবার,
তুমি ধ্বংস, তুমি ঝড়, তবু তুমি পুরুষ আমার।।
হে নারী, সৃষ্টি খুজেছিল, তুমি সেই শান্তি
নরম তোমার চোখ , কেশ যেন ছায়া,
তুমি করেছো তৈরী জীবনের মায়া -
তুমি সুন্দর , তুমি রাত শেষ ভোরের ছোঁয়া
তোমার উপস্হিতি যেন সকল হলো পাওয়া।
তুমি সৃষ্টি-কে বাঁচিয়ে রেখেছো , প্রেম দিয়েছো ঢেলে -
সে প্রেমের ধারায় চৌদিক এসে মেলে।
তোমার বাঁধনে বেঁধেছে সব , বিনাশও ঝুকিয়ে মাথা
দিয়েছে ডুব তোমার চোখে, এমন গভীরতা।
তোমারই গর্ভে সবুজ-শ্যামল, গর্ভে ধরেছো জীবন
তুমি রুদ্র-ভয়ঙ্করী বিনাশ জেগেছে যখন।
আবার এনেছো প্রেম , শান্তি দিয়েছো ভোরে-ভোরে
নারী , তুমি এসেছো কাছে কত-না রূপ ধরে-ধরে ।।---