শালবাগান আজও স্থির দাঁড়িয়ে সেখানে

কতো স্বপ্নো কতো গল্প দেখেছে সে,

আমাদের ছোটো ছোটো ঘর-গুলিকে

ঘিরে রেখেছিলো এক মস্ত শালবাগান।

এক ঘরের রান্না , চলে যেতো অন্য ঘরে,

এমন আনন্দে বাড়ছিলো ঘর- গুলি,

শালবাগান ও ছিলো সেই আনন্দের এক শরিক।

তারই খুশি - জানাতো সে, অপরূপ মাধুরী রূপে-

বর্ষার গা ছম - ছম কালো রাত,

কিছু পরেই কুয়াশা বিছানো চাদর -

কতো পাখি করতো ডাকাডাকি, বসন্ত দূয়ারে।

তার-ই মাঝে সুন্দর জীবন চলেছে  প্রতি-দিন।

আরেক দিকে ছিলো মস্তো বড়ো এক মাঠ-

সকাল , বিকেল বসতো খেলার হাট ,

আমরা ছোটরা হচ্ছিলাম বড়ো এমনি রূপকথা নগরী-তে।


আমাকে সম্পূর্ণ করেছিলো একজন-

শৈশব এর সকল রস হতে বঞ্চিত করেনি সে,

অনেকে পরে- অন্য স্থানে যাই সরে

সরে যায়নি অনেক-দিনের  মধ্যেকার ভালোবাসা

যা ছিলো আমাদের প্রতি-দিনের সঙ্গী ভাষা।


হঠাৎ এক দিন কানে আসলো সেই দূঃসংবাদ

ছেড়ে দিলো একজন- চিরন্তন সাথ ।

এমনি ভাবে ছেড়ে গেলো কতো- জনে ,

কতো জন অনেক দূরে,

যারা হচ্ছিলাম বড়ো - আজ প্রতিষ্ঠিত কেউ, কেউ বা অন্য দেশে-

অনেক পরে দেখেছিলাম একদিন, আমাদের জায়গা নিয়েছে অন্যেরা- এসে।


বান্ধবী-র সঙ্গেও অনেক-দিন আর যোগ-যোগ নেই,

শুধু আমাদের প্রিয় শালবন পায়নি কোনো ছুটি।

আজও এক ভাবে ছড়াচ্ছে ভালোবাসা , উজাড় কোরে -

আজও মেঘ পুঞ্জীভূত হয়, বৃষ্টি ঝরে,

জল কুল-কুল করে এক রহস্য তুলে ধরে,

মাঠ আজও অপেক্ষা করে থাকে, নতুন খেলার জন্য-

সব এক রকম,

শুধু সেই স্বপ্নো আজ জায়গা নিয়েছে অন্য,

সবাই গেছে চলে অন্য কোথাও, নিজের মতন কোরে,

আবার হয়তো তৈরি করেছে নতুন সাম্রাজ্য কোনো

সকলের অগোচরে। ।