ভেলা দিয়েছি ভাসায়
দূর মোহনায়, মিলবে যেখানে আকাশ।
এতো বড়ো বিশ্ব! এতো চমৎকার!
যেদিকে তাকাই, প্রতি অনু তে পাই, এক অদ্ভুত সৃষ্টির রসায়ন,
স্তুম্ভিত জলের শক্তি, অথচ নিরাকার।
কতো যুগ-যুগ ধরে নিশ্চুপ দাড়িয়ে জীবন
ফুলে-ফলে ভরাচ্ছে ডালি,
লজ্জাবতী দিয়েছিলো সারা, নিয়েছিলো চোখ বুজে--
চারিদিকে এক আশ্চর্য আবিষ্কার
রাখেনি আমার ঝুলি খালি।
কার ইশারায় মিলেছিলো সব, জুড়েছিলো একে একে ,
অবাক চোখে দেখেছি মাটি তে প্রাণের সঞ্চার দেখে।
জীবন্ত মনে হয় রাতের আকাশে তারা,
কুয়াশার মোড়কে, ঢাকা-সন্ধেবেলা,
এককোষী থেকে হঠাৎ একদিন জেগেছিলো যারা,
জানিয়েছিলো সৃষ্টির আজব খেলা, দিয়েছিলো সারা
আমি তার ই শরিক একজন।
প্রাণ ভরে দেখেছি সূর্যের প্রয়োজন, কতো শক্তির বিকিরণ,
কেন হলো এতো আয়োজন!
কার ই- বা ইচ্ছেশক্তি তে এ মিলন?
পড়া হয়নি
জানা হয়নি। বিরাটের মাঝে লজ্জা নিজ-ক্ষুদ্রতার।
তাই ভেলা দিয়েছি ভাসায়
সৃষ্টির পথে-পথে,
ঝিনুক-রত্ন আছে যে বিছায়
প্রত্যেক ক্ষতে-ক্ষতে,
এতো অজানার মাঝে! নিজেকে বিকায়
নিতে চাই শ্বাস,
ক্ষুদ্র জীবাণু যদি ধরা দেয় আমায়,
ধন্য জীবন, আমার বিশ্বাস।
হাওয়ার স্রোতের ইশারায়, পৌঁছোতে চাই কিনারায়,
দেখতে চাই বিস্ময় সৃষ্টি, পথে খুঁজে খুঁজে।।