ছোটো বেলা থেকে,একটু একটু করে

অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, সব কিছুর সাথে,

সকাল বেলা সূর্য ওঠার পরে

ধীরে ধীরে বেলা গড়িয়ে যাওয়া। খাওয়া মা'য়ের হাতে।

প্রকৃতির সম্পূর্ণ রূপে- পড়ছিলাম  অভ্যস্ত হয়ে

চলার পথে পথে,

রৌদ্রো মাখা দিন-মেঘলা আকাশ-অথবা ঝড় বয়ে

ঝংকার বিদ্যুৎ হতে,

চেনা আমার প্রতি- টি সময় -তাই খুব নিশ্চিন্ত মনে হয়।

মা'য়ের পা'য়ের আওয়াজ অনেক দূর থেকেই জানে আমার কান,

বাবা র সন্মান -

গন্ধ আমার নাকে। ভালো লাগে জলি র সুর ভাঙা গান-

নিজের কতো-টা  শুনিয়েছি তোমাকে। এক কঠিন রাত এ বৃষ্টি তে স্নান।

তুমি দাঁড়িয়ে থাকো জানালায়- যখন বাড়ি থেকে যাই ,

যেদিন তুমি থাকো না কাছে-আনমনে, আমি সেদিন ও ফিরে তাকাই-সেই জানালায় ।

এমনই প্রত্যেকটি অভ্যেসে বেঁধে তৈরি হচ্ছি আমি,

আমার গভীরে দাদা র অস্তিত্ব  ছায়ার মতো,

নিমেষে দেখেছি হারাতে ভয় গুলো যতো,



আমার রক্তে রক্তে যে মেশা আমার 'কথা', চোখে সেই উদ্দাম 'দিক'

যেখানে আমার বৈভব।যেখানে আমি ই ঠিক,

সেখান থেকে যাওয়া কি সম্ভব, যেখানে এতো কলরব ।

এই তো আমি, এই তো আমার সৃষ্টি-অভ্যস্ত আমার প্রতি টি  কণা।


এই অভ্যেসের বাইরে কোনোদিন যেন না যাই,- পেরিয়ে যাক সময় হাজার শত শত।

পারবো-না অচেনা ভিন্ন শহরে ,অথবা অন্য কোনো আকাশ শূন্যে , কালো গহ্বরে ,

বদ্ধই থাকতে চাই আমি খাঁচার ভেতরে। চাইনা সুন্দর আকাশে মেলতে আমি ডানা ,

প্রকৃতি, পৃথিবী,আর তোমাদের নিতে হবে এ দায়িত্ব-

কোনো দিন আমি না যেন হই একা- আর অজানা। ।