একি আমি কোথা!
এত বাঁকা পথ! আমায় এ পথেই যেতে হবে?
ও মা ;ছোটোবেলায় যে পথ দিয়ে হেঁটেছি সে কই?
সেথায় তো তুমি আমার হাত ঝাপটে ধরেছিলে মা।
আজ এই বাঁকা পথ দেখেও একা হাঁটার সাহস দিচ্ছ যে বড়ো?তোমার সন্তান হেঁটেছে কখনো?
ও মা;আমি পা'র'বো না। ধ্যত ;হাতটা ধরো তো বাপু!
সবাই এত সহজে হাঁটছে কি করে গো?
আমার তো ভাবতেই গা শিরশির করছে।
মা বললে, এখন থেকে তোকে একাই হাঁটতে হবে যে! আমি কি আর চিরকাল রইবো পথ দেখাতে?এই পথে আমিও একাই হেঁটেছি। বলছিস নাহ! কি করে এত শত লোক এই দুর্গম পথে হাঁটছে? তারাও তোর মতোই ভিমড়ি খেয়েছে আর ভেবেছে। সবাই ভুল পথেও গিয়েছিলো রে।আমিও গিয়েছি। আবার ফিরে সঠিক পথে হাঁটতে গিয়ে কয়বার যে হোঁচট খেয়েছি!রক্তাক্ত ছিলো দুটো পা। আজ দেখ!রক্ত ও নেই আর ভুল পথে যাওয়ার অবকাশ ও নেই। অই যে যারা সোজা হাঁটছে তারা ও অনেক রক্তাক্ত হয়েই কঠিন পথে নিজেকে শক্ত রেখেছে। কেউ হোঁচট খাওয়া ছাড়া শক্ত হয় নি। আমি বললাম,
আচ্ছা মানলাম তবে সবাই এখানে কতো আধুনিক আমি তো তাল মেলাতেই হিমসিম খাবো মাগো!মা বললো, হিমসিম খাবি কিরে?জিজ্ঞাসু হবি,এক কোণে না থেকে মেলামেশা করবি জগতের সাথে।অভিজ্ঞতা নিবি। চেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিবি।নিজেকে শক্ত রাখা ব্যক্তির পরামর্শ নিবি।
আমি,ওমা তুমি বলছো? আমি হাঁটবো?পাশে থেকো কিন্তু! পড়ে যেতে দেখলে আগলে রেখো।বড্ড কাঁচা যে আমি এ অজানা বিশ্বালয়ে!