নরহরি রুপেতে এলেন এ ধরাতে
নৃসিংহ নাম যার ।
দেহ তার নরের মুখখানি সিংহের
অদ্ভুত শৃঙ্গার তার।
গয়াধুর গর্ভধারন নারদ তারে করলেন হরণ
হরিগুন কীর্তন শোনাতে।
স্বামী খুঁজে মরে নারদ মত্ত কীর্তন শোনাবারে
গয়াধুর মনোযোগ কীর্তনেতে।
প্রসব পূর্বেতে ফিরলেন রাজ্যেতে
প্রসব হলো শুভক্ষণে।
প্রহ্লাদ শিক্ষা তরে গেলো গুরুর ঘরে
শিশু প্রহ্লাদ সদা থাকে হরিগুনগানে।
পিতা সহিতে না পারে ছেলেকে দিলেন অগ্নিপরে
সিংহাসন হতে দিল আছাড়।
সাপের গুহাতে কিংবা হাতির পদতলেতে
কেউ পারেনি করতে সাবাড়।
উগ্র রুপ ধরি ভক্তবৎসল শ্রীহরি
রক্ষিলেন প্রহ্লাদে।
স্তম্ভ ফাটিলো অমনি হরি বের হলো
হিরণ্যকশিপু বধে।
এলো সেই মহালগন যুদ্ধে হরি হলেন মগন
বধিলেন হিরণ্যকশিপুরে।
চোখে মুখের উগ্রতা ভয়ে ভীত সব দেবতা
ভক্তপ্রহ্লাদ শান্ত করলেন হরিরে।