অন্তর পিঁজরার চৌকাঠজুড়ে এক
নির্লিপ্ত কাঁচ ঠেসে গেছে;
কাঁচের শরীরে দৈবাৎ প্রাচীন
বিমর্ষ ধোঁয়ার ছটা লেগে
কাঁচ আঁতকে ওঠে ভয়ালশৈলীতে।
আমি বুঝতে পারি
আমি দেখতে পাই!

সহস্র আলোকবর্ষ লঙ্ঘিত এক
অস্ফুট নক্ষত্রের ছায়া
আমি; তোমার আকাশগঙ্গায়
গাছের মতো এসেছিলাম
অজস্র ডালপালায় প্রেমপুষ্প নিয়ে।
আজ সে গাছ মারা পড়েছে বিতৃষ্ণায়
এমনকি মৃতের সৎকারও তুমি করোনি।
আমি বুঝতে পারি
আমি দেখতে পাই!

তোমাতে তোমার নেপথ্যে আমি ফুল হয়ে
ডুব দিয়ে
নিঃশব্দে সাঁতার কেটেছি;বড্ড জোরাজোরি করেও
ঐ নীল জলজ দেশে আমার নাগরিকত্ব মেলেনি,
অথচ বিদিশাগ্রস্থ উদ্বাস্তু বনে দিব্যি শ্বাস নিচ্ছি।
তুমি ও তোমার ওয়াদানামা সদর্পে বদলে গেলেও
ত্রস্ত হয়ে তবু দুর্বার যুদ্ধে বদলে যেতে পারিনি।
আমি বুঝতে পারি
আমি দেখতে পাই!

আষাঢ়ি মেঘ নির্মুক্ত আকাশে পরাস্ত হলে
নগর ও নাগরিক পথের অন্ধকারে আমি
চুপচুপে দাঁড়কাক হয়ে উড়ে বেড়াই
কবিতার গড়নে তোমাকে পড়বো ব'লে।
দৃশ্য নিংড়ে ওঠে; দেখি তোমায়!
দেখে যাবো অবাধ
যতবার এই ফ্যাকাসে মৃত্তিকা
বরষা পেতে চায়।


•|২৮শে ভাদ্র,১৪২৭|•