থমকে ক্ষয়ে যাচ্ছি শতাব্দীর নাট্যমঞ্চ পেছনে ফেলে।
সামনে চন্দ্রস্থ রোদে আলোকিত
নির্জনতায় কণ্টকাকীর্ণ_ খোলা
নিরন্তর পথ; অথচ সেথায়
কোথাও এই সবাক পা দুটো, ঠেসবার জায়গা নেই।

কখনো কখনো ঘাসের ডগায় ছোট্ট শীতবিন্দু হয়ে
ঘুমন্ত বাঁদুরের মতো কিম্ভূত
আটকে থাকি নিগূঢ়তম নীলে।
যাতে আর পাঁচ সাতটে বিষাক্ত
চোখের দংশনে বারবার অন্ধ না হই;নাহ্ পারিনা!

অথবা একাকী শ্রাবণের অবসন্নতা আঙুলে তুলে
জীবন্মৃত এই নগ্ন হাত দুটো
বাংলার বাউলের মতো উদ্যত,
যেনো অনুভূমিক দুটো শিমুলের শাখা!
এভাবে নিভৃতে অপার হচ্ছি,
ভিজেছি আসমানি বুলেটে।

জানো?
এথা অগুনতি শূন্যতামুখী নিচু উঁচু বাক্সের গর্ভে
স্যাঁতসেঁতে আলোকরেখা ডিঙিয়ে একটা ক্যাকটাসের
অলীক অনড় দৃঢ় চোখে, আমি প্রায়ই তোমাকে ছুঁই ।

কখনোসখনো আষাঢ়ি আকাশে আসন্ন
মেঘের ন্যায়
তোমার আড়ষ্ট চুল আমার চিলতে জানালা হাঁকিয়ে
ক্রমশ ঝড় তোলে কিংবা হঠাৎ কখনো
নিরস্ত এই পৌরাণিক দুপুরের বৈরাগী উষ্ণতায়,
এখানকার অন্তঃসারশূন্য নির্লিপ্ততার
গুপ্তঘাতি আগুনের চর্বনে ভাঙতে ভাঙতে
তোমার ন্যুব্জ নীল দেহের সুনগ্নতা পাকড়ে
টুকরো খন্ড ধুলিধবলিমা হয়ে বেঁচে রই।

জানো? নিথর মর্গ হতে ফাঁসির মঞ্চ অবধি
ধোঁয়াচ্ছন্ন ল্যাম্পপোস্ট বা বলয়বেষ্টিত শনি
এথা কোথাও কিচ্ছু নাই তবুও তোমারে খুঁজি।
কলমে বল্লমে সদা তোমাকেই আটকে রাখি
যেনো অর্ধমৃত বটের ন্যায় দৈবাৎ ফুলেল বনে উঠি!
চুপে কান্না তাঁরাও কাঁদে;লীন চোখে দেখি তুমি আর আমি।