মহীরুহ কাঁদে মুহুর্মুহুঃ
ঝরা পাতাদের সবুজ শোকে!
বক্ষ গহীনে আঁটা ধু-ধু মরু,
মরুর বুকে জীর্ণ বেদনা
বৃষ্টির মোহে ক্রন্দনরত;
মোর হৃদকম্পন ক্রমে বাড়ে।

চায়ের বাষ্প উড়ে উড়ে
গ্রীষ্মের ঠা মেঘেদের মতো
অকস্মাৎ কোথায় হারায়!
শেষে পূর্ণ-চুমুক চা হিম
হয়ে, মিশে যায় অভ্যাসের ধসে
কাপটি পড়ে থাকে অবহেলায়।

সিঁড়ির পর সিঁড়ি কষছি
কতো অংক রঙ্গ খাতায়
অথচ সুখের অংকখানি
শুভ্র মামুলি; কাঠিন্যে নত
নির্ভীক জীব সে হিসেব মেলাতে
হায়, ক্রমাগত হিমশিম খায়।

বাগান ভরতি কাগজ ফুল
সাঁঝমালতি আর সর্বজয়া,
বুকের মধ্যে তবু গুলাব কণ্টক
মায়ার আগুনে দগ্ধ ফুলেল হায়া।

সময় ফুরালেই কালের অন্তর্ধান
চোখে বুকে চৌপর ক্লান্তির লাগাম;
আমিহীন কোনো বিস্মৃতি প্রদোষে রেখো
আনমনে দু-চার ফোঁটা অশ্রুর নিশান।

আমার এ অস্পৃশ্য যাতনায়
কাব্য ছুঁড়ে তোমারে জানান দিতে চাই..
এই ঝোপে সারথী খদ্যোতেরা মৃতপ্রায়!
তবু রৌদ্র আর চন্দ্রের লীলায়
জোয়ার হয়েও যেনো একদিন
ঠিক তোমারেই ছুঁতে পাই।