আজ থেকে অনেক অনেক কাল পূর্বে
এখানকার বাতাস এক স্বর্গীয় নিসর্গের
সবুজ আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত ছিলো।
নদী-খাল, ঘাস-গাছ, পশু-মানুষ সব বেশ
সংঘবদ্ধচিত্তে জীবনরেখা তাঁদের ললাটপটে
স্বহস্তে এঁকে নিতো এখানে।
কিন্তু হঠাৎ মানুষেরা সমস্ত ভুলে যেদিন থেকে
অত্রস্থ পাহাড় রাশি কাটাকুটির গোগ্রাসে গিলে
বিস্তীর্ণ শহরভূমি উদ্গীর্ণ শুরু করেছে,
যেদিন থেকে এখানকার সমগ্র সবুজকে
তাদের হিংস্রতম পদতলে চূর্ণ করে
ধূসরিত করার চেষ্টা পত্তন করেছে,
যেদিন থেকে অত্র অরণ্যের বৃদ্ধ মহীরুহ
আর চিরহরিৎ লতাগুল্মের উদ্যানে,
সুখী সাবলীল সাদামাটাদের মাথায় পাছায়
আধুনিকায়ন নামক চিরঅতুষ্ট কর্তনী দিয়ে
আলুলায়িত এবড়োখেবড়ো জখমকার্য চালিয়ে
সুউচ্চ পাথুরে জাহান্নাম তৈরি শুরু করেছে?
যেদিন থেকে এখানকার মানুষ নামি প্রাণীগণ
চটি ছেড়ে সাহেবি জুতো পরতে শিখে নিয়েছে,
যেদিন থেকে এই ঈষৎ চ্যাপ্টা
বর্তুলাকার পৃথিবীর চামড়ায়
আহত রোদের উষ্ণতা ক্রমান্বয়ে
বেগ পেতে শুরু করেছে?
ঠিক সেইদিনটি থেকে এখানকার
নিত্য আকাশচারী একঝাঁক পাখি,
নিভু নিভু শিখায় কিয়ৎ আলোকিত
এই বিষাদি নীলাভ অঞ্চল পালিয়ে
নিঃসঙ্গতার আকাশে ডানা উড়িয়ে
হয়তো শূন্যতার বিষে মিইয়ে গেছে।
ঐ একঝাঁক পাখির আকলঙ্ক ঘুচিয়ে আমি
ফের তাঁদের ফিরিয়ে আনার নিগূঢ় নেশায়
নাস্তানাবুদ বনে আছি।
কারো দৃষ্টিগোচরে এসেছি কি?
সেই একঝাঁক সুখ পাখি!
কেউ যদি ওদের কোনকালেও খুঁজে না পাও
তবে জেনে নিও সবে ওরা খুন হয়ে গেছে!
আমাদেরই খুন খেলায় ছিটকে পড়া
বিষাক্ত রক্ত পানে খুন হয়েছে।