হেইদিন..
সক্বাল সক্বাল কাচের দেয়ালের মতো
ঠাস কইরা ঘুমটা ভাইঙা পড়লো!
মনে হইলো পিঞ্জিরায় ছুরিকাঘাতে ছ্যাঁত কইরা
ফাইড়া ফালায়সে কিছু একটা কেউ।
মরমের ঘুমটা ভাঙার কালে দ্যাখতাছিলাম..
কোনো এক দাঁড়িয়াল গন্ধবনিক আইসা
এমুন এক গন্ধ আমার ঘরের বাতাসে ছড়ায়া দিসে,
যেই গন্ধরে কাছে ধরবার লাইগা
বৎসরের পর বৎসর
খালি ঠাই দাঁড়ায়া রইতে পারমু অনড়।
চোখ মেইলা হঠাৎ দপ্ কইরা মনে ধরলো
"আরেহ! এইডাতো আমার ফুলরাণীর সুবাস!"
বারান্দার কবাটি মেইলা দেখি..
ফুলরাণী জলতেষ্টায় কাতর হইয়া
শুকনা খড় বইনা গেছে,
এমুন সুময় ফুলরানীর বাহু থেইকা
একটা পইচা যাওয়া রাধাচূড়ার গোছা
মাটিত্ মাতালের মতো নেইতা পরলো।
কি আজব..
তবু এহোনও আমি রাইতের বেলার
তাজা রাধাচূড়ার সেই কড়া গন্ধ
বুক ফুলাইয়া গিলতেছি শ্বাসের পর শ্বাস।
বেদিশায় পইরা তোমার বাড়ির পাশে;
চেনা মোড়ডার গলায় গলায় হাঁইটা দ্যাখলাম..
তোমার টকটকা আলতা রাঙা পায়ের থেইকা
ঝইড়া পরা অল্প খানিক লাল
আইজও যেনো তাজা পইরা আছে রাস্তায়।
ছুঁইয়া দ্যাখতে গ্যালাম তো ঝড় নাইমা আসলো!
হেদিনের পুরাটা ঝড় আমি একলাই ভিজ্জা হজম করসি।
কিন্তু রাধাচূড়ার ঐ কড়া সুবাস
এহোন আর নাকে লাগতেসে নাহ্;
শ্বাস নিশ্বাস সবকিছু মিশ্যা
আশ্বাস এর ঘাটতিতে আটকাইয়া
সজোরে আছাড় খাইতাছে রক্তের লগে।
আইজোও সেইভাবে থাইকা থাইকা
মাথার উপ্'রে বসন্ত ভাইঙা আকাশ নামে
বৃষ্টিগুলা হারায়া গ্যালো কার নামে!
এরপরে..
রাধাচূড়ার গন্ধও এহোন আর পাই না
পিঞ্জর চুল্লিত্ আগুনের বদলে মগজ জ্ব'লে।
আফসোস, হেদিনের ঘুমটা আইজ অবধি
কভু; তোমারই মতো অকস্মাৎ আর আইলো না দুই চোখে।
[বি: দ্র: কবিতাটি মূলত স্থানীয় ভাষার মিশেলে রচিত]