একি বন্ধু তোমার চোখে জল !
এতো সুখী মানুষ তুমি ?
অভিমানের সুরে সে বললে
এটা সুখের জল নয়- অশ্রু
শুনে পাগলের মতো তার শরীর
হাতড়ে বেড়ালাম- স্নেহের পরশে।
কই দেখি কোথায় তোমার কষ্ট,
বুকের ধুকধুক- ফুসফুসের ফুসফাস
অথবা পাকস্থলীর কলকাকলী
সবই তো ঠিক আছে- তবে ?
অবাক দৃষ্টিতে এবার সে তাকালো আমার দিকে
কৌতুহল প্রশমিত করতে না পেরে জিজ্ঞাসাই করে বসলো
ভাই, আপনি কি মানসিক ভারসাম্যহীণ ?
মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করা ক'টা প্রাণীকে কাঁদতে দেখেছেন?
একটু হচকিত হয়ে বললাম- না, না দেখিনি।
তাহলে শুনুন- আমার অশ্রুর কারণ দেহ নয়- মন
প্রিয়তমার সঙ্গে ক্ষনিক বিরহে বড্ড নিঃসঙ্গ লাগছিল
তাই বুঝি হৃদপিন্ড হতে পরিচালিত রক্তের হিমোগ্লোবিন
উত্সাহিত করেছে হরমোনকে অশ্রু নির্গমন করতে।
আরে মশাই, এই যে এখানে থাকে মন
বলেই সে আমার বুকের বাম দিকে হাত দিতে চাইলো
চেষ্টা করেও পরাজিত করতে পারলাম না,
ভয়ে আঁতকে উঠলো সে
একি! আপনার হৃদপিন্ড কোথায় ?
অনেক সুখী মানুষ ছিলাম আমি
ভালবাসা জমতে জমতে ওটাতে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল
তাই কেটে ফেলেছি
এখন আর কাঁদি না
সে সুখও আর নেই
তবে কি জানো
এখন আর কোন কষ্টও নেই।