সাগর যেভাবে আঁছড়ে পড়ে বেলাভূমিতে
তেমনি সাগরকেও আলিঙ্গন করে অসংখ্য মানুষ
আমি ভয় পাই
আমি জানি তার রহস্য - তার গভীরতা
কারণ দিগভ্রান্ত নয়- দিক নির্ণয় করে
বার বার প্রদক্ষিণ করেছি এই পৃথিবীকে।

কথা সেটা নয়
একদিন প্রিয়তমা বললে
আমার ভালবাসা মাপতে যেও না-সেটা সাগরের মতো গভীর
শুনে হতবিহবল হয়ে
মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হলো
তাম্র বর্ণের বামনের হাতে আজ সত্যিকারের চাঁদ
তাহলে কি ছাড়পোকার কামড়
গাঁদি পোকার গন্ধ
উইয়ে ধরা জ্বরাক্রান্ত ফার্ণিচার
সব- সবকিছু সইয়ে নিয়েছে সে ?

প্রাপ্তির যথার্থ মূল্য দেবার সামর্থ্য না থাকলেও
সদিচ্ছা আর চেষ্টা তো করা যায়
আঁখ মাড়াইয়ের মতো ভালবাসা নিংড়ে
বের করে দিলাম তার হাতে -
পান করো
ছিঁকাতে তুলে রেখে বললো
অমৃতের গুনাগুন পরীক্ষা করা দরকার
সাগরের গভীরতার ভয় আমার আছে
তাই প্রশ্ন করবার সাহস করলাম না।

অমৃতের পরীক্ষা দিতে হেঁটেছি তার পাশে
চৈত্রের রোদে ছায়ার মতো
বর্ষায় ছাতা হয়ে
আর মাঘের শীতে শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরেছি বুকে
উষ্ণতা বিলানোর নিমিত্তে।

পরীক্ষাটা হয়তো মনোপুত হলো না তার
তাই ছেড়ে গেল সে।
ভয় থেকে জন্ম নিল দুঃসাহস
জীবন বিপন্ন করবার শপথে
ঝাপ দিলাম তার মহাসাগরে
কিন্তু এ কি
যেখানে ডুব সাঁতার দিতে হয় হাঁটু পানিতে।

ফিরে এলাম ক্লান্ত নীড়ে
দেখলাম অমৃত ভান্ডারে অনেক মাছি পড়েছে
পিপীলিকারাও বেশ চঞ্চল
তাহলে......।