মা! প্রেমদূত বেশে আসিয়াছি তোর কলের ভূবনে
তাই লাজ লাগে মা অসুরের মুন্ড ছেদনে ।
ফিরে যদি আসি মা ,আবার তোর কোলে
লুকায়ে রাখিসনে মা তোর মমতার আঁচলে ।
মোর হাতে দিস মা অসুর নিধনকারী মহাচক্র
নিমেষে উপাড়িয়া ফেলিব সকল অশুভ নেত্র ।
স্বার্থসাগরে মুক্তার লাগি ডুব দিয়া সকলে
কন্টকে পূর্ণ করিয়া চলেছে নিজ হৃদকমলে ।
আত্মঅহংকারী মানুষ পদাঘাতে তোর দেহ করে
ক্ষত-বিক্ষত
তবু তুই তারে দিস অঞ্জলি ভরে আশিষ ভূলে
যন্ত্রনার ক্ষত ।
সেই ক্ষতচিহ্ন লুকায়ে রাখিস আভরন অন্তরালে
আর নীরব অভিমানে কাঁদিস নিভৃতে ,বিরলে ।
লোভের তরঙ্গে মেদিনী করিছে টলমল ,
হেথা কারও দুঃখে কেহ অপাঙ্গে ঝরায় না জল ।
আমি অন্যায়ের বংশ করিব নাশ
মিহির কিরন মাঝে পাই তার আগাম আভাস ।
যারা বাড়ায়ে ঈপ্সিত কর তোর সম্পদ করে লুণ্ঠন
আমি খুলিব তাদের মিথ্যে সততার অবগুণ্ঠন ।
মোর রণ-হুংকারে কাঁপিবে মর্ত্যের পুরন্দর
পদাঘাতে তার সুখের কুর্সি করিব চুরমার ।
পরিয়া গলে ভূলুণ্ঠিত মুন্ডের হার
শবদেহ পূর্ণ রাজপথ হয়ে যাব পার ।
সুমেরু হতে কুমেরু হারাইবে সুখের শর্বরী
মোর উষ্ণ নিঃশ্বাসে নিশীথে ফুটিবে না কর্বরী ।
ঐ হেরো , অকিঞ্চন চলিছে পথে পরিয়া মলিন বসন
তারই তরে তব সাধের মনুষ্য কেমনে করিছে অবজ্ঞা
বরিষন ।
অপমান বুকে চাপিয়া মুখে ফোটায় সে মৃদু
শুভ্র হাসি
তার নীরব ক্রন্দন ভার কম্পন জাগায় অধরের
কোনে আসি ।
ক্রমে ভূলিয়া রাহী আপনার কর্ম-উষ্ণীষ
পথে চলিতে চলিতে পান করে পথের বিষ ।
ফিরে যদি আসি মা , আবার তোর কোলে
শতরঞ্জিত কুসুমে পূজিব তোর চরনকমলে ।
আবার নীপতরু তলে বাজাইয়া বেনু
গোকুলে চারন করিব ধেনু ।
চিরতরে নির্মূল করে ভন্ডের কুঞ্জকানন
গোপীগণের নয়,
পরিয়া শুধু শ্রীরাধার বনমালা রচিব প্রেমের সিংহাসন ।
দেবতারা বাজায়ে শঙ্খ করিবে পুষ্প বরিষন
নবরুপে , নবসাজে সাজিবে মোর প্রেমের কানন ।
------------