আমার মনের ডুবুরি সমাজ সিন্ধুর
অতল জলে ডুব দেয় বেলা-অবেলা , অধীর
হয়ে জীবনের অমূল্য মুক্তার লাগে
ফেলে সকল ভীরুতা,জড়তা;ত্রাস জাগে
যদি কোনোদিন তার সন্ধান না পাই ।
জিতিনি কভু হেরেছি বারবার,ঝিনুক পেয়েছি
কিন্তু সেথা মুক্তা নাই ।
তবে কি মোর হয়েছে ভূল ?
এ সিন্ধু কী সিন্ধুর নামে করেছে ছল !
বহিছে শুধু কল্পনারই নীল লোনা জল :
কিন্তু কেন এই চেষ্টা ?
কেন এই আকুল তেষ্টা ?
সমাজে তো অনেক মানুষ রয়েছে
যারা মুক্তার লাগে নিজ জীবন করেনি বিপন্ন,
না দেখে না বুঝে শুধু রাক্ষসের মতো গিলছে
বিষ মেশা অন্ন ।
তাদের মতো আমারও নেই কিছুর অভাব
তবু সবার থেকে বদলেছে মোর স্বভাব ।
তাই আমি করিনি সমাজের নীতি অনুসরন
বাঁচিয়েছি আপনারে হতে তার হিংস্র নয়ন ।
খুঁজিতে সেই সিন্ধু কোন পারে পৌঁছেছি জানি না
ব্যর্থ হয়েছে মোর ডাক,হেথা কারও সাড়া পাই না ।
তবে পেয়েছি মুক্তা-মানিক অপেক্ষা উজ্জ্বল রত্ন―
চারিদিকে ছড়ানো স্বর্গীয় সুধা ভরা লোভহীন শান্তি
আমি ভাঙাতে পারিনি কোনো মানুষের মনের ভ্রান্তি ।
বিশ্বাস করেনি তারা এই পথের দিশা
ডুবিয়ে রেখেছে তাদের আঁধার সুখের নিশা ।
জানি না কোন মায়ার কাঠির পরশে তারা নিদ্রামগ্ন―
এই প্রেমের সিন্ধুতীরে মনে হয় যেন আমি একা,
হে সখা !
এই বিশ্বে যদি থাকো তুমি দাও মোরে দেখা
জাগাতে এই নিদ্রিত মানুষের নয়নের রেখা ।
ভূলে সকল মায়ার বাঁধন এ হাত ধরো মোর
পাড়ি দেব সকলে মোরা কনককিরন ঢালা প্রভাতের দোর ।
**********