সেভাবেই শুরু করবো বলে শুরুটা ঠিক জমলো না,
অনেকের হাতে অনেক কিছুই অমরত্ব পেয়ে মরে
গেছে আবার, যেমন তোমার হাতে সোমবারের
নিশ্চুপ কুয়াশা, আসলে জীবনের ফেনা, এখানে
বলে রাখি--সেবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে মনে হয়েছিল
কামিনীও চেয়েছিল তাই--নিষিদ্ধ রতি, অথচ একে
আবার ঠিক প্রেম বলা যায় না। শতবর্ষের অবজ্ঞা
ভুল হয়ে মাছরাঙা ডালে প্রসব করেছে মরা রোদ,
আমার বিমূর্ত নগ্নতাকে শহরের শরীর থেকে খুলে নেয়
ক্যামেরা-ফোন-টাকা ভর্তি কালো ব্যাগ। সাত
সকালে শরীরী সুখের ক্লান্তিতে আলো এসে পড়ে--
ঝলমলে আলো, তার পাশে অন্ধকার একমুখ বিষাদ
বুকে অপেক্ষা করে নির্জন পুরুষ শব--ছাড়
পাওয়ার দমবন্ধ অপেক্ষা, কে জানে কবে কে তাকে
বেসেছিলো ভালো, যেন ভালোবাসা মরে পড়ে
আছে ভুল মহাকাশে যেখানে কেউ যেতে পারেনি কোনদিন। যাক সেসব বেকার-কথা--কথা সব বুকে
ঠেলে বলি আবার, হাজার হাজার যুবক-যুবতীর
শ্রাদ্ধ করে দেওয়া সরকারের মুখে-আগুনের ব্যবস্থা
হোক। আমরা আর কি বা চাইতে পারি, কি বা
ভাবতে পারি করতে পারি এই অবৈধ আনন্দঘন সময়ে।
মৃত আত্মার খিদে দরজার পাশে অনেক অপেক্ষার
পর ফিরে গেছে যুবতীর কোলে, যেমন সবাই ফেরে
চেনা নিশ্চিত দেশে আশ্রয় পেতে--পায় কিনা কে জানে
কোথাও যেন একরত্তি শিশুর হাসিমুখ ঘুমিয়েছে জলে।