আমি ক্ষণিকের স্বস্তি পেলাম
যেদিন প্রথম তার দাদু বাড়িতে দেখা হলো
দু-দন্ড দৃঢ় বাস্তবতার কথা হচ্ছিল।

তাকে, তার প্রিয় বৃদ্ধ দিদার পাশে
ঠিক যেন মনের মাঝে ছবি আঁকা রাণী মনে হচ্ছিল
উল্লসিত আন্দোলন প্রেমাসিক্ত ঢেউ খেলছিল -
তার চোখ ও ঠোঁটের কোণে,
সেই শিহরণ ঢেউয়ে দুলে উঠলো আমার অন্তর।

অপেক্ষার মোড়ে আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে
সে সিঁড়ি বেয়ে উঠছিল, উঁচুতে অনেক - উঁচুতে।

আমি জানতাম সে একদিন ঠিক নিচে আসবে।

গীষ্মের দাবদাহে পাতা ঝরে নতুন পাতা এলো
বর্ষার বৃষ্টি ছুঁতে
কদম গাছের ডালে ডালে এলো ফুল
তাও ঝরে গেল রাস্তার দুপাশে
ফুলের মিষ্টি গন্ধ ভরা বাতাস, প্যাচপেচে পচা গন্ধে
মাতলো
তারপর - শরৎ গেল, হেমন্ত গেল,
শীতের বরফ ঢাকা হিমেল স্পর্শও শেষ হলো
বসন্তের আগমনে জীবাশ্ম জালানীর উপাদান সাক্ষী হয়ে রূপান্তরে মিলিয়ে গেল।

প্রকৃতির নিয়মে সেই সিঁড়িও ধ্বংস হলো
কালের কোপে মিশে গেল এ পৃথিবীর বুকে।

শেষ পংক্তিতে আমি নিশ্চল মূর্তি দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়।

আলো বাতাসের অসীম স্নিগ্ধতায়,
কোলাহলে কখনো বা নির্জন নিস্তবদ্ধতায় ফিরে ফিরে ঋতু আসে ঋতু যায়-
অপেক্ষার মোড়ে মোড়ে পৃথিবী জুড়ে।



ধৃতি রাজ