বিল মাঝ হতে জয় নাহি আসে উচাটন যায় বেড়ে
মেঘ উঠে আসে হীরা যায় ছুটে, সুর নেয় কে কেড়ে?
দেখিল বিলে জয় বসে আছে; অপলক পদাসনে
একহাতে বাঁশি অশ্রু ভাসি; জানায় জীবন মানে;
জয়ের পাশে পড়িল বসে; রাখিল স্নেহের হাত
জয় ঢুলে পড়ে হীরার কোলে; কপোলে অশ্রু ধাত!
কথা বলো তুমি বারে বারে চুমি; বুকে টানিয়া লয়
আমি তো আছি জনমের সাথী; করিছ কিসের ভয়?
জড়ায়ে ধরে কলিজা মাঝে; আদরে হৃদয় ভরে
পরিণয় ঘোরে হৃদ জাগরণে; বলে জয় আধো স্বরে;
কিজানি বলিল বাঁহাত উঠিল মেঘ ঘনঘটা পানে
হয়তো বলিল আসিল মেঘ; বাঁশরির সুর টানে;
দেখ চাহিয়া প্রকৃতির হিয়া; প্রকৃতি পিড়িতে হাসে
কাঁদে প্রকৃতি যার সুকৃতি প্রকৃতির মাঝে ভাসে;
না হয় বলিল ঝলকায় দেখ; হৃদয়ের জ্বালা জুড়ায়
নিসর্গ নীর আসিছে গভীর; পূর্ণ আজি তা পাওয়ায়;
জীবন রথ করিছে শপথ; উপরের পথ চেয়ে
নামিয়া স্বপন করিবে আপন; ছাড়িবে না চিরতরে।
ভাবনার লেশ কোথা তার শেষ আঁকা বাঁকা পথ ধরে
সহসা দেখি নেই তার মতি; হাতখানি গেল পড়ে;
কলিজা ফাটে রুদ্ধ শ্বাসে; চাপি তার বুকে হাত
স্পন্দন হীন অলিন্দ বিল কোলেই হইলো নিপাত;
নিথর আমি নিসাড় আমি অন্ত নিদান কাল
উন্মাদে যায় নিছুনি খুলি কর্ষে জীবনের হকদার।
ধৃতি রাজ
আসিতেছে.... মধ্যি পাড়ার বিল (পঁচিশ)/অন্তিম খন্ড।