যখনই ভাবি -
মানুষের বিভেদ সূচক অমানবিক অন্ধত্ব ভেঙে চুরমার করে দেব
খুলে দেব প্রকৃতি চেতনার দূরন্ত মানবিক পথ,
তখনই আঁধার পথের আনন্দ ঘন মানুষের মুখ -
অবরুদ্ধ করে দেয় আমার জেগে ওঠা মানবিক স্পৃহা,
নিজেকে দুমরে মুসরে মানিয়ে নিই -
থাক না খুশির জোয়ারে, আনন্দের ঢেউয়ে দুদিনের জীবন পাড়ে
আমিই বরং একলা চলতে থাকি প্রকৃতি ভুবনে -।

যে মানুষগুলি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চায় না
বা কল্পনার অসত্তা শব্দকে উত্তরের মোদ্দা শেখায় একটি ছোট্ট শিশুকে
তারাই সংখ্যাগুরু
তারাই সাধারণ লঘিষ্ঠ জ্ঞানীর মহাগুরু! স্বঘোষিত ঈশ্বর দূত!

'স্রষ্টা", "প্রভু", " ঈশ্বর" শব্দের স্থলে "প্রকৃতি" শব্দ ব্যবহার করলে বাস্তব দৃষ্টির আলোকিত পথ উন্মোচিত হবেই হবে,
মস্তিষ্ক ধাবিত হবে প্রকৃতির গভীরে মহাক্রিয়া উদ্ধারে
নিশ্চিত খুঁজে পাওয়া যাবে রূপান্তরের বিস্তৃত রসায়ন সমুদ্র কোনো এক প্রজন্মে,
কিন্তু গরিষ্ঠ মানুষ একটি শিশুর কাছেও ডাহা মিথ্যে বলে যায় অনায়াসে!
যে মিথ্যের সত্য উদ্ঘাটনে সে নিজেই অপারগ,
শিশুর মস্তিষ্ক আলোয় বিকশিত হওয়ার আগেই লেপন করা হয় অন্ধকার পথ,
সংরক্ষিত করা হয় অগ্রজের অমূর্ত বিশ্বাস,
কল্পনার ভাবনারা আনন্দে মাতে সে পথে দাঁড়ায়ে!

আমি এখন ক্লান্ত, বিষন্ন,
কাকে বলবো পরিশুদ্ধ হতে? কাকে বলবো প্রকৃতির আলোয় চলতে? -
যারা ধনীর খাওয়ার জোগান দিয়ে নিজের দুমুঠো খাওয়ার জোগার করতে রক্ত জল করছে,
শিক্ষাহীনতায় অর্থহীনতায় ছেঁড়া কাপড়ে ভাঙা স্বাস্থ্যে দুদণ্ড বাঁচার তাগিদে অলৌকিক শক্তির আহ্বান করছে
তাদের?
নাকি -
যারা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে
স্রষ্টা, প্রভু, ঈশ্বরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে
বিশৃঙ্খলতায় ধন সম্পত্তি টাকা লুঠতরাজ করছে
সর্বত্র স্ববর্ণ জ্ঞাতি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ছত্রে অর্থনৈতিক মুনাফা তুলছে
যারা চুরি করছে তারাই হৈ হৈ রৈ রৈ রব তুলছে
তারাই তদন্ত করছে
তারাই বিচার করছে
তারাই নিজেদের নিরাপদ দণ্ডের কারিগর,
তাদের?

হে নিরন্ন জীর্ণ বঞ্চিত জাতি তুমি জাগ্রত হও
তুমিই পারবে প্রকৃতি শিক্ষায় আলোর ভুবনে চলতে।

জাগ্রত হও, হে বঞ্চিত জাগ্রত হও,  জাগ্রত হও।


ধৃতি রাজ