গত তিন মাস মানুষ খুঁজছিলাম
যারা মানুষের মনুষ্যত্ব বুছেছিল
চেষ্টা করেছিল -
মানুষের প্রকৃতি ভিত চিন্তনকে ইন্দ্রিয়স্থে
ভৌত সৌহার্দ্য বন্ধনে আবদ্ধ করতে,
আমি তাদেরই খুঁজছিলাম
সেই যে এগারো শত পঞ্চাশ খ্রীষ্টপূর্ব হতে
এই দুই হাজার চব্বিশ পর্যন্ত।
শূন্যতায় পূর্ণ ঝুলি ভেব না মহাজ্ঞানী
পেয়েছি হাতে গোনা দুই শত ঠিক তোমারই মতো
এতো কোটি মানুষের রূপ রূপান্তরের ভীড়ে
বাস্তব দৃষ্টি আলোয় আলোকিত করতে তারাই যথেষ্ট।
কিন্তু গোষ্ঠীর টানে ফুলে ওঠা ছিচকে শাসক
এ বিশ্ব ভূমির করাল গ্রাসী বিশৃঙ্খল বর্ণভেদী
ভালোবাসার কথায় উৎকৃষ্টের কৃষ্টি সামনে নয়
বরং আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
এটাই কি সুসভ্য মনুষ্যত্ব?
এটাই কি মনুষ্যত্বের কুলীন অস্তিত্ব?
সেই যে এগারো শত পঞ্চাশ খ্রীষ্টপূর্ব হতে
এই দুই হাজার চব্বিশ পর্যন্ত।
তার আগে অবশ্য খুঁজতে হয়নি
সনাতন মনুষ্যত্ব বৈশিষ্ট্যে তারা কেন ছিল উৎকৃষ্ট
কেবলই প্রকৃতির অজানা ঘিরে ছিল
হাজারো ভীতির জিজ্ঞাসা,
যেখানে মনুষ্যত্ব খুঁজতে হয়নি
খুঁজতে হয়েছিল সঙ্ঘবদ্ধতায় উদ্ধার
অথবা নিভৃতে একক তপস্যায় উত্তর!
সেই যে এগারো শত পঞ্চাশ খ্রীষ্টপূর্ব হতে
বর্ণের গ্যাঁড়াকলে গোলামীতে খুশি খেটেল জনতা
মিশে যায় রোজ জীবন জড় গঠন উপাদানে
গত তিন মাস ফিরে ফিরে চায় জীবনের কোলাহলে।
ধৃতি রাজ