নির্জন গাছের ছায়ায় বসে পল্লবীত তন্দ্রায় আমি দেখছি
কারা যেন ধর্মের মানদণ্ডে পৃথিবীর গতি নিয়ন্ত্রণে মগ্ন
উচ্চবিত্ত সাজে লক্ষ কোটি বছর আগের নির্মাতা
দখলদারি কীর্তিস্তম্ভে
নিজেরাই ঈশ্বর ও ঈশ্বর নামে নামাঙ্কিত একাগ্র চিত্র!

মানুষের তীব্র ঈশ্বর ডেসিবল বধির করে শ্রবণেন্দ্রীয়
কেড়ে নেয় অহিংস মানবতা,
তবে কি -
আসন্নপ্রায় বিস্তৃতরূপে পরিশিষ্ট আলোহীন সভ্যতা!

স্বর্ণালী রথ এসে থামে আমার সমুখ পথের ধারে কোনো কারবারে
ঈশ্বর দূত, ঘোর কলিকালে! বিশ্বাস নেই, তবু -
কানাঘুষো মধ্যবিত্ত জনতা ঢল নিমেষে উপচে পড়ে!

যাত্রীশূন্য রথাসন!
নিরাকার নাকি কারো চোখে দৃশ্যমান?
তর্কের ঘানি টানে রাশি রাশি জনতা
ধীরে নেমে আসে চালক
সহজ পোক্ত নরম কণ্ঠে শুনি -
ওহে বন্ধু ভুলে যেও না
তোমাদের চিন্তা তন্ত্র মহাবিশ্ব প্রকৃতির অগনিত তন্ত্রের একটি মাত্র
ধ্বংসের সাথে সৃষ্টি তোমাদের নিত্য নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না
ঘটমান রূপান্তর কেবলই প্রকৃতির চক্রশীলা
মহাবিশ্বের মধ্যকর্ষণের হিসেবই স্থির করে দেয় প্রকৃতিগত অবস্থান।

উচ্চ ও মধ্যবিত্তে দিনের অবসানে নামে আঁধার
মিলিয়ে যায় রথারোহী,
মিলিয়ে যায় নিম্নবিত্তের ভাতের সন্ধানে
তীব্র ঈশ্বর ডেসিবল একাগ্র মানদণ্ডে।


ধৃতি রাজ