এই বেশ ভালো আছি, সকাল থেকে মধ্যরাত;
ব্যাস্ত চড়ুইয়ের মতো ছুটাছুটি; তোমাকে ভাবার সময় কই?
বসের নোট বুকে থাকলে যা হয়, মিটিং মিটিং তারপর মিটিং;
তোমাকে ভাবতে গেলে দিনক্ষণ হিসেব করা লাগবে; দরকার আছে কি?
এই বেশ ভালো আছি নাকি ভালো থাকার অভিনয় করি,
নিজেই জানিনা । তবুও ইচ্ছে করেই তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাই;
তোমার বেলকনির দিকে তাকিয়ে থাকি। জানি ওখানে আর কেউ দাঁড়ায়না: বুকের ভেতরটা কেমন যেন নড়েচড়ে ওঠে ।
তবু তোমাকে ভাবিনা, সযতনে চোখ ফেরাই ব্যাস্ত পৃথিবীর দিকে;
সিগন্যালে আটকে থাকা গাড়ি, অযথাই গাড়ির হর্ণ, সর্পিল ট্রেন
তোমাকে ভাবার সময় কই?
এই বেশ ভালো আছি, ভালো থাকতে হবে জানি;
অন্ধকার রাতে বৈশাখী ঝড়ে যে পাখির নীড় উড়ে গেছে
ডানা ভেঙে মুখ থুবড়ে পরে থাকে সবুজ ঘাসে
ঝড় শেষে সেও উঠে দাঁড়ায়, আবারো নীড় বাধে, আবারো ডানা মেলে ।
তবুও আমার হাজার ভাবনার ভীরে তোমার কথাই মনে পরে;
তাই কলম ধরি পদ্য লিখি ।
তোমাকে ভাববো বলেই অবসর খুজি, সে সব অবসরেই ভাববার কথা।
তারপর কোন এক অবসরে সত্যিই তোমাকে ভাবলুম;
নীরা তুমিওকি আমায় ভাবো?
এতোদিন পরে একটি কথাই জানতে ইচ্ছে করে, কেমন আছো তুমি?
আমিও তো বেশ আছি, ভালোই আছি।।
    
     07/01/2021 খ্রিস্টীয়
   রাজবাড়ি / গাজীপুর ।