কবিতা লিখে এখন আর পেটে ভাত জুটেনা, কি দরকার এসব ছাইপাঁশ লিখে?
তার চেয়ে রাস্তায় ঠেলা চালাও, মুটেগিরি করো, তাতে সংসারে দুটো পয়সা আসবে।
দিন রাত স্ত্রীর নীতিবাক্যে দিশাহীন এক কবি ;
তাই কবি আর কবিতা লিখেনা, দারিদ্রের দংশনে মৃত্যু হলো তার কবিতার।
কবিতার বই আর বিক্রি হয়না। সবাই এখন ব্যাস্ত অনলাইনে, ফেসবুকে, ইউটিউবে।
বই কিনে পড়বে এমন পাঠক কই!
কবি তাই ব্যাস্ত চাকরীর ইন্টারভিউতে।
পাঠক ভাবে কবিরা মানুষ নয়, তাদের ক্ষিদে তেষ্টা পায়না।
তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাওয়া খায় আর কবিতা লিখে।
অভাব অনটনের সাথে লড়াই করে জীবন যেখানে ক্লান্ত; কবিতা সেখানে বড়ই বেমানান।
তাই কবি আর কবিতা লিখেনা। পান্ডুলিপি ভাসে নর্দমার জলে।
কবি কবিতা লিখতে চায়নি, কবিতা তার ওপর ভর করেছে।
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে অক্টোপাসের মতো।
সেখান থেকে বেরোবার শক্তি কবির কই?
কবি আর কবিতা লিখেনা।
পালাবার পথ খোজে শিকলে বন্দী খাঁচার পাখিটির মতো।
কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি অন্তহীন অসীমের পথে
নীরবভীমানে চাপা কান্নায় কবি থাকুক একলা ঘরে
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো তুমি কবিকে
ক্লান্ত শ্রান্ত এক কবি।।

* দক্ষীন ছায়াবিথী *
গাজীপুর।
৪/১/ ২০২০ খ্রিষ্টীয়।