মাঝ রাত; দু'চোখে ঘুম নেই, বসে আছি বারান্দায় ইজি চেয়ারটাতে-
হাতে এক খানি কবিতার বই আর এক কাপ গরম চা।
চেয়ে আছি ঐ দূর গগন পানে, দেখছি রাতজাগা চাঁদটাকে
আর ধরনীতে ডালা তার জ্যোৎস্নার আলো।
শ্বশানের মতো যেন নীরব চারদিক্, বইছে ঝিরি-ঝিরি শীতল হাওয়া
আর ডাকছে মাঝে মাঝে সেগুনের বনে ঘুম হারা ডাহুক পাখি।
ঘুমিয়ে গেছে রাতের পৃথিবীটা এমনকি গাছপালাও
শুধু জেগে আছি একা আমি, আমার ঘুম আসেনা।
আজ রাতটা সত্যিই চমৎকার, নিবু নিবু আলো, নির্জন চারপাশ
শুধু শুনছি মাঝে মাঝে নাইট গার্ডের গলার আওয়াজটুকু।
জ্বলছে আকাশে মিট মিট করে অসংখ নক্ষত্রের দল,
কোনটা বড় আবার কোনটা ছোট, তিল পরিমান ফাক নেই তাঁতে আজ।
রাতের আকাশে ভেসে থাকা মেঘকুঞ্জগুলো
রেখেছে আলোকিত চাঁদটাকে আড়াল করে;
যেন মেঘের কুলে মাথা রেখে ঘুমিয়েছে ঐ চাঁদ
শুধু জেগে আছি একা আমি, আমার ঘুম আসেনা।
আঙ্গিনার বেতঝোপে জ্বলছে আর নিভছে অসংখ্য জোনাকির দল
কখনোবা জ্বলছে পুকুরের কালো জলে ছায়া ঢেলে উড়ে উড়ে।
চশমার পাথরটা মুছে নিয়ে পড়ছি মৃদুসুরে জীবনানন্দের বনলতা সেন
এমন রাতে ঘুমহারা চোখে কবিতা পড়ার এইতো সময়।
আজ রাতে তুমি কি করছো জানিনা, হয়তো ঘুমিয়ে গেছো সোনার পালংকে
শুধু জেগে আছি একা আমি, আমার ঘুম আসেনা।
২২/৮/২০০৭