কাব্যের চেয়েও কাব্যিক ভাষায় কেউ একজন-
জীবনটা আমার নামে লিখে দিয়ে গেছে,
আমি তারই এ পাতা-ও পাতা উল্টেপাল্টে
জীবন নিয়ে বেঁচে আছি বা বাঁচতে চাই?


মেলা ওঠার ঠিক আগে দিয়ে,
তুমি বিবেক পুঁড়িয়ে তার দুই ঘাঁ নিজের চোখে দিলে।
জানি, এতে উষ্ণতার প্রলোভনের অনুভাবন হয়,
মস্তিষ্ক হতে হয়তো বা সাত-পাঁচটা হরমোনও
ক্ষরণ হয়ে মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে,
নিজেকে সুস্থ রাখার মতো আক্কেল টুকু দিয়ে দেয়।


তারপর, নিজের প্রতি-
নিজেরই গঞ্জনার প্রয়াসে বলে ওঠে -
এ পথ ভালো, সে পথ খারাপ,
এ পথে জীবনে সঠিক ছিল,
সে পথে আমার মরণ- এই চিন্তাগুলোয়
চিত্তের আগুনে ‘উপায়’ এর জন্ম দেয়।
‘তিরিং-বিরিং-ফাক’- এবার তো মন্ত্রও পড়ে নিয়ে
উপায়কে পুষ মানিয়ে বেছে নেয় তার যা বাছার।
তাই আমি এসব দেখে-
নিবৃত্তের মতো চেয়ে রইলাম,
মনে আশঙ্কা হল, ভীত হয়ে পড়লাম।


এখন আমি নিজের কথায় আসি,
চক্ষু জগতের এত কাছাকাছি বিবেক পুঁড়তে দেখে,
মনে ভয় ঢুকে গেল।
না, পোঁড়ানোর প্রতি না, বিবেকের প্রতি!
তাহলে, আমি এখন কি পুঁড়াই?
এএএ, উত্তর হলো-আমি নিজের সমস্তটা বেছে নিলাম।