একদিকে তুমি আর অন্যদিকে-
চার দেয়ালে বন্দী থাকা আমি
আর আমার ধুলােয় জমা
ঘড়ির প্রতি সেকেন্ডে টিকটিক শব্দ।
উহু, সময় ফুরায় না,
ফুরায় আমার ভালােবাসা,
যা আমি একটা খুব সুন্দর
মেয়েকে দিতে চেয়েছিলাম,
আমার নিজের চোখে নিজে
দেখেছিলাম এই ভালােবাসা
আর স্থান দিয়েছিলাম অনুভূতিগুলােরে
আমার এই ছােট্ট মনে।
জীবিত অবস্থায় মাঝে মাঝে মানুষ
নিজেই তার নিজ সত্তার
কিছু চরিত্র বা আচার-ব্যবহারের
অংশবিশেষকে খুন করে
আর এজন্য তার কোনাে
আফসােস মনে নেই বা আসে না।
কিন্তু এই ধরনের খুনকে
বাস্তবিক রূপ দেওয়ার আগে
মানুষটা কখনােই ভাবে না
যে তার এই সত্তার ভালােবাসায়-
আজও কেউ একজন
মনে অসম্ভব আবেগ আর
চোখে অফুরন্ত ভালােবাসা নিয়ে
প্রতিটি সেকেন্ডেকে লালন করে
ধূলােয় জমা ওই ঘড়ির
টিক টিক শব্দে বড় হয়ে উঠছে
নিজের মন খারাপের রাতের সাথে।
এখন আমি আমার আফসােস জায়গায় আসি,
এই যে খুনাখুনি হল বা হচ্ছে
প্রতিটি মানুষের জীবনে না হলেও
কিছু মানুষের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হচ্ছে তাে ঠিকই!
কিন্তু এইগুলাে কর্মের জন্য
কেউ কাউকে আঙ্গুল তুলে
খুনি তাে বলে না বরং মরে যাওয়া
সেই পুরনাে, হারানাে, অপমৃত্যুর শিকার হওয়া সত্তাকে এখনাে লেখক মন ভালবেসে যায়,
এখনাে রাত-দিনের স্বপ্নের-
আকাশে খুঁজে কিন্তু আর পায় না তাকে,
লেখক বুঝতে পারে না কোথায় হারিয়ে গেল সে!
কারণ এইসব খুনের খবর তাে আর
আমাদের এই সাদা-সাপটা
সরােজমিনের বাস্তব জীবন নামক ফাঁদে
কখনােই প্রকাশ করা হয়নি
বা প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না।
হে-হা-হা, কে বলেছে ভালোবাসতে
বাস্তবিক মানুষ, মানুষের অস্তিত্ব আর
রক্ত মাংস-হাড়ে গড়া দেহ চাই?
যে ভালােবাসতে জানে-
সে এই লেখক এর মতাে
খুন হওয়া সত্তাকেও ভালােবেসে যায়
আর কখনাে কোনাে প্রশ্ন করে না।