কখন কার সুখ চলে যায়,
কোন ঘুমের রাতে!
আমি আজ ডুবছি আবার-
কার মোহতে।
ওগো স্বজনী-প্রিয়!
ফুলের সুবাস না ছড়িয়ে-
এবার নাও তো বিদায়
এবার আমার মুক্ত হয়ে-
আকাশ ছোঁয়ার সময় হলো বলে!
যত সব রাতের আঁধার-
কাটবে না যে, খুব জানি তা।
তাই বলে কি মরবো আবার,
শুধুই কষ্ট পেয়ে?
আজ কোন গানে কার-
সুর উঠে খুব বুঝি তা।
আজ আবার সন্ধ্যে নামার আগে-
বুঝি খুব ঘরে ফিরে যাও?
আজ আবার মেঘ ডেকে বৃষ্টি এলে-
বুঝি খুব ছাতা এনে দেয়?
আজ আবার শুধু চোখে তাকিয়ে-
বুঝি খুব তোমার কথা কেড়ে নেয়?
আজ আবার সকালবেলা ঘুম ভাঙাতে-
বুঝি খুব ফুল এনে দেয়?
আজ আবার ভুলগুলি সব নিজের করে-
বুঝি খুব কাঁদে তো?
এখন ঠিক আঁধার হলেই-
সব যায় ঘটে তো?
কেন আমার অশ্রুই শুধু দাম থাকে না?
জানি, স্রষ্টাও দেন না
হে, হে আর আমিও পাই না।
যত মোর অশ্রু সবই-
শুধু থাকছে না তো আর
আমায় ঘিরে!
উন্মুক্ত করে রেখে গেলাম-
সবই আজ কাব্য করে।
প্রেমিক ছিলাম, পাপী না
মানুষই ছিলাম, নির্ভুল না।
হারিয়ে যাওয়া মানুষ হাসে আজ-
হারানো কোনো স্মৃতিতে।
রক্তক্ষরণে লেখক মরে-
খুনহীন কোন খুনেতে!
বলে গিয়ে বেঁচে যাই,
আর বেঁচে গিয়েই থেকে যাই,
আবার সেই,
থেকে গিয়েই মরে যাই!
ভেবো না মরে গেছি,
এইতো তোমার পঠিত এই কবিতায়-
বিন্দাস বেঁচে আছি।