মাঝে মাঝে ‘অশ্রুজল’ নামে
কিছু অনুভূতি মন থেকে বের হয়ে আসে,
আবার যখন চোখের জলও
শেষ হয়ে আসে তখন
এক বুক আবেগ নিয়ে তা খাতা-কলমে
‘কাব্য’ বা ‘কবিতা’ নামে থেকে যায়,
আর কিভাবে জানি নিষ্ঠুর এ পৃথিবীর বুকে
মানুষেরা এগুলো বাজার দামে কিনেও নেয়
কারণ তা পড়তে ভালো লাগে তাই।
‘বই’ নামক যে বস্তু বাজার থেকে
কিনে নিয়ে বাসায় যান,
সেটা শুধুমাত্র ছাপাখানায়
ছাপাকৃত কিছু কাগজ মাত্র!
লেখকের বা কবির সর্বশেষ অনুভূতি থেকে যায়
লেখকের বা কবির মনের অন্তরায়,
পাঠক পাঠ করে শুধু নিজের মধ্যে
সেই অনুভূতিকে প্রতিস্থাপন করার
চেষ্টা করে লেখকের বা কবির জায়গায় নিজে দাঁড়িয়ে
উপলব্ধিকৃত স্বাদটা নেওয়ার চেষ্টায় থাকে।
লেখক বা কবি পাঠককে উপলব্ধি করতে শিখায়,
লেখক বা কবি পাঠককে অনুভূতি করতে শিখায়,
ভাবনার জগতকে সমৃদ্ধির আদরে গড়ে তুলতে শেখায়।
ভালোবাসা? তাতো মানুষ এমনি শিখে যায়-
বই পড়তে পড়তে, ভালোবাসা দেখতে দেখতে,
ভালোবাসা পড়তে পড়তে, ভালো বাসতে বাসতে!
সাধারণের ক্লান্ত মনে ঘুণ ধরে
আর লেখক বা কবি মনে ফুল ঝরে,
এই ঝরে পড়া ফুলকে পাঠকের দেখতে
পারাটাই লেখক বা কবি এর সার্থকতা!