শুনেছি কথায় কথায় এ নাকি আমারই জীবন,
রাখিনি বাঁধন, করেছি ক্ষয়-
শূন্যস্থানে আমি নিজেই আমার নয়।
এইতো মহল, এইতো মুকুট, এইতো দুর্গ-
সবই এই পৃথিবীর!
করেছে শত্রু মানুষ-মানুষের,
আমরাই আবার বলি, মানব সমাজ কল্যাণকর!
অর্থক্ষুধা চর্চার মানব নাকি এই পৃথিবীর ই অংশ হয়?
প্রতিটি দেহ ক্ষয়ী, প্রতিটি আত্মা তৃষ্ণাময়ী,
চোখেতে আছে ধোঁয়াশায় ঘেরা-
এক নিরব অস্থির মনোভাবী!
প্রতিটি মনও আবার না পাওয়া ঘোরের অংশধারী,
এই পৃথিবীতে মানুষ থাকে নাকি-
সবাই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে অংশগ্রহণকারী?
পেয়েছো এই পৃথিবীরে হাতে তা আবার নতুন কি?
এই পৃথিবীরই এক খেলনা জানি,
নাম তার মানবপ্রাণ, তাও আবার বাস করে-
পেয়েছে সব মৃত মানুষের বস্তির দাম!
মরে গিয়ে বেঁচে যায়, জীবন চেয়ে মরে যায়
কেউ বাঁচে শিক্ষায়, কেউ বাঁচে না জানায়।
মোরে যখন যেতে হয়-
জীবনটাও তো চেয়ে নিতে হয়!
জীবনের উপর একটি লিখা-
“চাহিবার মাত্র দিতে বাধ্য থাকিবা সদা”
ঝলসানো যৌবন খুঁজে বেড়ায়,
আশেপাশে তার একটি ছায়ায়!
অস্থির দেহও লাইনে দাঁড়ায়,
বাজারের দামে নিজেকে বাড়ায়!
এমন দেহেও নাকি জন্মায়-
একটুখানি ভালোবাসা তাও আবার বিক্রির আগে
উঠানো হয় জমা খাতায়!
কি এমন এক পৃথিবী যেখানে-
মনুষত্বই কিছু না, বিশ্বস্ততাই কিছু না, বন্ধুত্বই কিছু না যেখানে ভালোবাসার কদরও মানুষ নিজেই জানে না!
এই পৃথিবী জ্বালিয়ে দাও, ছাই করে উড়িয়ে দাও
আমার সামনে থেকে সরিয়ে নাও,
তোমার পৃথিবী তুমি নিজের কাছেই রেখে দাও!