ওদের সরীসৃপ দেহ ঘামছিলো,
নাকি ছিল পথভ্রষ্টের ভয়ময় গোপন সভা,
নাকি দীপ্ত প্রহরে তার মত মহানের;
অজর দেহের পাশে ছিল হায়নার হিংস্র আচরণ।
কতটা দ্যুতিহীন হলে ভুলে যায় সব;
নিজের পদচারণ; জন্মের ইতিহাস।
সেই রেসকোর্স ময়দান;
এখনো ফাগুন এলে ফুলেরা্ কাঁদে,
এখনো সেই তৃণ শাখা বেড়ে ওঠে অভিমানে শিশির জলে,
এখনো এখানে তারুণ্যের মনে বাজে কুচকাওয়াজ বিউগল,
প্রবীণের শ্রুতিতে বাজে বলিষ্ঠ কণ্ঠের ভাষন,
কবিরা শব্দের রশ্মিতে ভরে দেয় স্মৃতির মিনার,
দূর থেকে দেখা যায় কালজয়ী স্বাধীনতা স্তম্ভ;
এখানে আজও জেগে থাকে অশ্বত্থের পূর্ণিমায় ছায়া প্রতিম।
এতদিন পরেও তাঁর কথা মনে করে
রাতের প্রহরী থমকে দাঁড়ায় কিছুটা সময়;
বিমূর্তে বলে ওঠে “এইখানে ছিল সব শুরুর সূচনা;
এইখানে ছিল শেষ বেলার গান,
এইখানে ছিল চেতনা, স্বাধীন বলাকার আহ্বান,
স্বাধীকার স্বাধীনতা; মানচিত্রে নতুন নাম;
যা আজ কেবলই বিনিদ্র ইতিহাস। “
মনে হয় খুব বিশাল হয়ে উঠেছিল তাঁর দেহ;
অজর দেহের ভারে নিভৃতে নুয়ে ছিল;
ক্লেশ-ক্লান্ত হায়নারা−
তাঁকে কতটা দূরে রেখে আসে;
পারেনি তবুও পৃথিবীর পারে লুকিয়ে রেখে!
আলোতে নিতে নিজেদের দেহ।
১৫ আগষ্ট ২০০৬, ধানমন্ঠি, ঢাকা