এত কেনো আজ মানুষ উন্মাদ পায়ে পায়ে নিয়ে হিংস্রতা,
যাকে তাকে করছে বধ; এ কেমন মর্তের স্বাধীনতা!
তবে কি মনে পুষে রেখেছে মানুষ বর্বরতার বাণী?
হস্ত তাহার কাঁপছে না যে মাথায় নিতে গ্লানি।
সম্প্রীতি কি কেবলই বলার? — মগজে চলে শয়তানি!
এ কোন ধর্ম? হারায় প্রাণ; মানুষে মানুষে হানাহানি!
এমন করে যে মানুষেরা পিছে, জড়ায়েছে কলহ-বিবাদে;
পরাধিনতা তাদের শৃঙ্খল পড়ায়েছে অতি অনাহুত ভাবে।
ভাবছো মুক্তি ধর্মের উন্মাদনায়? সহজ সর্গ পথ যথাতথা?
যেনে রেখো অহিংসই পরম পথ; অন্তরে সতত মমতা।
যদি করো সুদ্ধ চিন্তা, গ্রহণ করো সবিনয় মানবিকতা;
তবেই মিলবে প্রাণের মুক্তি, পাবে শেষ দমে তৃপ্ততা।
তুচ্ছ নয় কেউ, সবাই সমান— এই সমতাই যদি সবাই মানে;
সর্গ তবে যে মর্তেই মিলবে; যেনো, তা নয় কোনো সুদূরে।
যা হয়েছে ভুল, তা দিয়ে এক্ষুনি সবাই শিক্ষা লও যেনে,
এগিয়ে যাও অতীত ভেঙ্গে, শোভন সমুখের টানে।
রাজনীতি থাকুক রাজ্যের কাছে— জ্ঞানি আর সভাসদ স্বদলে
নির্ভয়ে বাঁচুক প্রজাগণ তার; সুশাসন আর সুবিচারের নিয়মে।
বিশ্ব হোক এক মানবিক উপাখ্যান, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে;
এমন মন্ত্র, বাণীই তো আজ অতীব দরকার— গ্রন্থের আদলে।
৩রা নভেম্বর ২০২০, শঙ্কর, ঢাকা।