ক্ষয়ে যাচ্ছে বাতাসে বাতাসে জীবাণু জীবন,
হাতছানি দেয় বিবর সভ্যতা।
মাঘের রাতেও দেহের জল;
একদিন থাকবে না কোন আশ্লেষে।
দুঃখ জলে চোখ ভিজে ভিজে
নক্ষত্র আকাশ ধোঁয়াশা হয়ে যাবে।
সরব মৃগেরা পালাবে পৃথিবী ছেড়ে,
পিঙ্গল আহারে ভরে যাবে ডাইনিং।
তেতোরস গ্লাসে যত্নআত্তিরে ব্যস্ত অপরাহ্ণ,
অনাহুত নিমন্ত্রণে জেগে থাকে সেক্সটন;
দরজায় কড়ার শব্দে চমকে ওঠে নগর কলিজার,
অনাহুত জীবনের মায়া নির্ঘুম রয়ে যায় বুকে।
কতকাল জেগে থাকা নারীর মন
একা একা ভেঙে যায় নিভৃত আনমনে;
কড়া নাড়ে না কোন বার্তায় দৈব আগন্তুক,
শ্রাবণী বারিধারা হেরে যায় বুকভাসা জলে।
আকাশের ভিতর আকাশ মেঘ শূন্য নয়,
চারিদিকে ভোরের শিশির তবুও একা থাকে;
যদিও মিথ্যে আহ্লাদে বুকের হতেছে ক্ষয়।
কতটুকু তার দেহের শক্তি উজানে উজানে,
নড়ে ওঠে জলজপ্রাণ শুনে মন্দিরা দূরে আজানের ধ্বনি;
মানুষের না দেখা কাহিনীতে লোলুপ থাকে,
তার প্রিয়’র বুকেও তেমন অজানা হুর অপ্সরা।
পিগমি প্রজাতির ভিড়ে, তবে কি তারাও খোঁজে?
তেমনই কৃষ্টাল অপার্থিব নারী।
তবুও দেহাবকাশ দেহকালে দুঃখ ফেলে;
সেই প্রিয় সাথে লয়ে অজর প্রেমে,
মোমের নারী; মোমেতেই যায় গলে।
২৪ ডিসেম্বর,২০০৮, শঙ্কর, ঢাকা।
(পুরোনো ডাইরী থেকে)