ঘুম যেন নির্বাসিত একা এক বসত
মশারিবিহীন শুভ্র আলোয় স্বপ্নমাখা ঘুম
চিরদিনই একা একা খুঁজে ফিরে নিরুদ্দেশ নগরী;
নাগরীহারা আকাশের সাথে সকল ছায়ামেঘ যেন হাঁপিয়ে উঠে,
অবশেষে নির্মোহ আলিঙ্গন অন্য আকাশে;
আমার নক্ষত্র আকাশ জ্বলজ্বল করে,
সবিশেষ চিলেকোঠার পাটাতন ফেলে উদোম আকাশে
নক্ষত্রের ভিড়ে আমি কখনোই নক্ষত্র খুঁজি না,
শুক্লার বিচরণ হয়তো আনমনা করে দেবে
পৃথিবীর কোন এক একা মানুষের মতো।

আমার ইচ্ছেগুলো কখনোই অঙ্কুরিত হয়ে আলোর মুখ দেখে না
কখনোই বৃক্ষের মতো শাখা প্রশাখা মেলে না।
বৃষ্টির মত জলরাশির শিহরিত ফোঁটায়
তৃষ্ণাকে আরো তৃষিত করে সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে,
ভাবলেশ ভীষণ বোকা হয়ে পড়ে থাকে যুগলবিহীন যৌবনের মতো;
সমুদ্রের ওপারে দৃষ্টিতে অপরাজেয় বেদনা,
আজ চিলেকোঠার ছাদে বাতাসে বাতাসে কথা উড়ে যায়
সমুদ্রের পাড়ে বেলোয়ারির ভাঁজে আছড়ে পড়ে।

আমাকে কেউ প্রশ্ন করে না! উপরে নক্ষত্র আকাশ
সব নক্ষত্রই কি অপার! প্রেমহীন নগ্ন আলিঙ্গন!
দৃষ্টিসীমা কত আর একা একা
সমাপ্তি করে দেবে জীবনের সবটুকু সময়;
হাত পেতে নিতে চাইলে পরিমাণতো ততটুকুই—
যেটুকু দিয়ে মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে না;
তবে ততটুকুই কি মানুষের সব গচ্ছিত প্রেম?
তবে কি সব মিথ্যে?— জলরাশির চেয়ে প্রেম বড়!
আকাশের চেয়ে উদার হতে চিরদিনই হাত ধরে প্রেম!
তবে কি মানুষের কাছেই আজীবন প্রেম মাথা নত?

জানি না, হয়তো হতে পারে; প্রকৃতি ও প্রেমের মধ্যে
কে বিশাল; কে কাকে আলিঙ্গন করে নিমিষে চুপিচুপি
অথবা শোরগোল করে পৃথিবী দুলিয়ে দেয় সারল্য চিৎকারে।

কাল রাতের আকাশে নক্ষত্র ছিল, জোছনা ছিল না—
আঁধারের সাথে সখ্য একরাশ অভিমানে
কোনো প্রশ্নেরই জবাব ছিল না।

২১ অক্টোবর ২০২০